• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৫ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৮:০৭:৪১ (18-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৫ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৮:০৭:৪১ (18-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

অপরাধ

৭ বছর পর জানা গেল, স্বামী নয় মেয়ের খুনি বাবা

২২ জানুয়ারী ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:০২:১৭

৭ বছর পর জানা গেল, স্বামী নয় মেয়ের খুনি বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের কালিহাতীর পারুল আক্তারকে তার স্বামী নাছির উদ্দিন নয়, তার আ. কুদ্দুস খাঁ নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। ৭ বছর পর হত্যার রহস্য উদঘাটন করে এমনটাই জানিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

২২ জানুয়ারি রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার।

তিনি বলেন, পারুল সব ভাইবোনের মধ্যে মেধাবী ছিলেন। স্কুলে তাঁর রোল নম্বর ছিল ২। দেখতেও ছিলেন সুন্দরী। বাবা কুদ্দুসের স্বপ্ন ছিল মেয়েকে শিক্ষিত করবেন। কিন্তু নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় পালিয়ে বিয়ে করায় বাবা ক্ষুব্ধ হন।

বনজ মজুমদার বলেন, তখন থেকেই কুদ্দুসের পরিকল্পনা ছিল মেয়ে তাঁকে যে অসম্মান করেছে, তাতে তার বেঁচে থাকার অধিকার নেই। মেয়ের বিয়ের তিন বছর পর সেই সুযোগ পেয়ে তিনি তাঁর বন্ধুর সহযোগিতায় মেয়েকে হত্যা করেন।

২০ জানুয়ারি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে কুদ্দুছ খাঁ জানায়, পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করে পারুল আক্তার ও তাঁর স্বামী নাছির উদ্দিন ওরফে বাবু ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকায় এসে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি শুরু করেন। দুজন যা বেতন পেতেন, তা দিয়ে তাঁদের সংসার খুব ভালোভাবে চলত না। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হতো। বিয়ের তিন বছর পর ঝগড়া করে স্ত্রীকে বাসায় রেখে বেরিয়ে যান নাছির। পারুল তাঁর বাবাকে ফোন করে পারিবারিক অশান্তির কথা বলেন।

তাঁর বাবা সেই বিয়ে মেনে নেননি। মেয়ের প্রতি ক্ষুব্ধ বাবা মেয়েকে বাড়ি ফিরতে বলেন। বাবার কথায় স্বামীর সংসার ছেড়ে গ্রামে চলে যান পারুল। এবার ক্ষুব্ধ বাবা নিজের ও পরিবারের অসম্মান করায় মেয়েকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পারুলের বাবা আ. কুদ্দুস খাঁ মেয়েকে ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাঙ্গাইল থেকে জয়পুরহাটে নিয়ে যান। পরিকল্পনা অনুযায়ী, কুদ্দুসের সঙ্গে তাঁর বন্ধু মোকাদ্দেছ ওরফে মোকা মণ্ডলও যান।

সেখানে যাওয়ার পর জয়পুরহাটের পাঁচবিবি এলাকায় একটি নদীর পাশে নির্জন জায়গায় রাতের অন্ধকারে পারুলকে তাঁর বাবা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে মোকাদ্দেছের সহযোগিতায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মেয়েকে হত্যার পর কুদ্দুসের মধ্যে আরেকটা বিষয় কাজ করছিল যে তাঁর মেয়ের এই পরিণতির জন্য নাছির দায়ী। তাঁকেও শাস্তি দিতে হবে। তাই মেয়ের জামাইকে ফাঁসাতে একের পর এক মামলা করেছেন তিনি। রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় থানা–পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই পুলিশ প্রতিবেদন দেন। মেয়ের বাবাও বারবার নারাজি দেন।

পিবিআই জানায়, পারুলের বাবা শুরুতে অপহরণ ও গুমের মামলা করলেও সর্বশেষ তিনি আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত আবার পিবিআইকে দেওয়া হয়। তদন্তে নেমে ২০১২ সালে মেয়ের বাবার করা সাধারণ ডায়রিতে দেওয়া একটি ফোন নম্বরের সূত্র ধরে এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়।

পিবিআই জানায়, মেয়েকে হত্যার পর নাছিরকে শাস্তি দিতে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে তিনি মামলা চালিয়েছেন। এর জন্য তিনি নিজের জমিও বিক্রি করেছেন।

কুদ্দুস এখন কারাগারে। কুদ্দুসের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোকাদ্দেছকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ


রৌমারীতে ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ী দিবস পালিত
১৮ এপ্রিল ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:৫২:৩৬

গাইবান্ধায় চুরি করা রেললাইন বিক্রির সময় আটক ৩
১৮ এপ্রিল ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৪:৪৪


বীরগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
১৮ এপ্রিল ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:১২:৫৭




পাঁচবিবিতে পুলিশের অভিযানে ৭ জুয়াড়ি আটক
১৮ এপ্রিল ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৮:২০