ইবি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে এক নবীন ছাত্রীকে র্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণকারী হালিমা খাতুন উর্মীর মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আমরা গত ৬ মার্চ উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনার কপি হাতে পেয়েছি। এরপর তাতে যে নির্দেশনাগুলো দেওয়া আছে সবগুলো পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। গত ৭ মার্চ মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইবি থানার ওসি বরাবর লিখিত চিঠি দেয়া হয়েছে। পরে থানা থেকে ওই শিক্ষার্থীর বেশকিছু তথ্য চাওয়া হয়, কিন্তু আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ওই শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল নম্বরসহ বেশ কিছু তথ্য দেওয়া সম্ভব হয় নি। আগামী শনিবার একাডেমিক শাখা থেকে ওই তথ্যগুলো সংগ্রহ করে তাদেরকে দেয়া হবে। তবে মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ইবি থানার ওসি আননূর যায়েদ বিপ্লব এ বিষয়ে বলেন, চিঠি পেয়েই আমরা মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রেখেছি।
জানা যায়, বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতির রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন নির্দেশনা অনুযায়ী উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। এর আগেও ফুলপরী খাতুনকে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমার পর কয়েক দফা নির্দেশনা দেন আদালত।
বিষয়টি নিয়ে রিটকারী আইনজীবী গাজী মো. মুহসীন গণমাধ্যমকে জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। সেই সাথে ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন এটারও প্রমাণ মেলে। ভিডিও ফুটেজটি চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার উর্মীর ফোনে করা হয় বলে জানা যায়। এখন পর্যন্ত সেই ভিডিও ফুটেজ এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়নি। সেজন্য হাইকোর্ট থেকে উর্মীর মোবাইলের ফুটেজ উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available