ফরিদপুর প্রতিনিধি: কোরবানির হাট মাতাবে ফরিদপুরের ‘রাজাবাবু’ ২৭ মণের রাজাবাবুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।
বিশালাকৃতির ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘রাজাবাবু’। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ফ্লেকভি জাতের গরুটি পালন করেছেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার দেবীনগর গ্রামের কৃষক আদেল উদ্দিন মোড়ল। ২৭ মণের রাজাবাবুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।
রাজাবাবুকে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করেছেন কৃষক আদেল উদ্দিন মোড়ল। তিনি জানান, ছোলা, ভুট্টা, খৈল ও নেপিয়ার ঘাস খাইয়ে বড় করা হয়েছে গরুটিকে। নিজেরা না খেতে পেলেও গরুকে মাঝে মাঝেই খাইয়েছেন আপেল, কমোলা, আঙ্গুর, টমেটো,কলা গাজর সহ মৌসুমি ফল।
স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চি মোল্লা এশিয়ান টেলিভিশনকে বলেন, “এই জাতের গরু আগে দেখিনি। দেখতে খুব সুন্দর। আমার চোখের সামনে বড় হয়েছে। গরুর মালিক নিজে ডাল-ভাত খেলেও গরুটিকে কাঁচা ঘাস, ফল-সবজি, ছোলা, খৈল এবল মাঝে মাঝে বাজার থেকে ফলফলাদি কিনে খাইয়ে বড় করেছেন। গরুটির পেছনে উনি অনেক শ্রম দিয়েছেন। আমাদের ধারণা, ‘রাজাবাবু’ জেলার মধ্যে সবচেয়ে দেখতে সুন্দর ও বড় গরু।”
আদেল উদ্দিনের স্ত্রী শাহেলা বিবি বলেন, ‘গরুটি সন্তানের মতোই লালনপালন করেছি। চোরের ভয়ে সারারাত গোয়ালঘরে থেকেছি। শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করিয়েছি। গরুটি বিক্রি করার কথা শুনে বেশ কষ্ট লাগছে। এখন একটাই চাওয়া, কষ্টের ন্যায্য দাম যেন পাই।’
গরুটির মালিক আদেল উদ্দিন মোড়ল দাবি করেন, জেলার মধ্যে তার ‘রাজাবাবু’ সবচেয়ে বড় গরু। এর দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। আশানুরূপ দাম পেলেই গরুটি বিক্রি করে দেবেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এ কে এম আসজাদ বলেন, আমার জানামতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা রাজাবাবুর খাবার ও শরীরে কোনো রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়নি। ষাঁড়টির মালিক ভালো দাম পাবেন আশা করি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available