পটুয়াখালী প্রতিনিধি: ১৯৯৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রটি ২০১০ সালে সরকার পৌরসভায় ঘোষণা করে। নান্দনিক পৌরসভা ও পর্যটন নগরী হিসেবে গঠন করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে তৈরি হচ্ছে প্রসস্ত রাস্তা ঘাট, বাস স্টান্ড, আবাসিক ও খাবার হোটেলসহ প্রশাসনিক নিরাপত্তা। পর্যটন নগরকে নান্দনিক করার লক্ষ্যে সরকারের সমস্ত দপ্তর নিরলস ভাবে কাজ করলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকাণ্ডে রয়েছে উদাসীনতা।
জানা যায়, সরকার পতন পরবর্তীতে নতুন পৌর প্রশাসকের পরিকল্পনায় পর্যটকদের আরও দৃষ্টি আকর্ষণে কুয়াকাটাকে যানজটমুক্ত ও নান্দনিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নগরের অধিকাংশ রাস্তা ঘাট অত্যন্ত সুন্দরভাবে তৈরি করা হচ্ছে কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে স্থাপন করা পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি পর্যটন নগরীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কুয়াকাটা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের এলজিইডি রেস্ট হাউজ থেকে হিড বাংলা সড়কের মধ্যে অবস্থিত ৫ টি পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণের জন্য গত ১৩ই মার্চ কুয়াকাটা পৌর প্রশাসন থেকে পল্লী বিদ্যুৎকে অনুরোধ করেন কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সেই চিঠির কোন প্রতি উত্তর কিংবা খুঁটি সারানোর কোন কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
আরও জানা যায়, পর্যটন নগরীর শুরুর প্রাক্কালে ১৫ থেকে ২০ ফুট রাস্তার দুই পাশে পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও পল্লী বিদ্যুতের অপরিকল্পিত প্লান এর মাধ্যমে বসানো হয় বৈদ্যুতিক খুঁটি। নগর উন্নয়নের কাজ চলাকালীন বিভিন্ন সময়ের জনপ্রতিনিধিরা পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে দিতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ খুটি সারাতে ব্যয়বহুল খরচের অজুহাত দেখিয়ে কখনোই তা আমলে নেয়নি। বর্তমানে পরিকল্পিতভাবে রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ করার পরও বৈদ্যুতিক খুটি গুলো আগের জায়গায় রয়ে গেছে যা এখন জনদুর্ভোগ ও যানবাহন চলাচলের বাধা সৃষ্টি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার ঘটেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রায় সময়ে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি বরাবর ভ্যান গাড়ি পার্কিং করায় রাস্তায় চলাচল অনেক কষ্ট হয়ে যায়। কিছুদিন পূর্বে এই খুঁটির কারণে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক নারী পর্যটকের পা ভেঙে যায়।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কুয়াকাটার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রাস্তায় তিন কিলোমিটার এর মধ্যে অন্তত ১৫ টি পল্লী বিদ্যুতের খুটি রয়েছে। অন ওয়ে কার্পেটিং করা রাস্তায় চলাচলকৃত যানবাহন গুলো বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশ দিয়ে খুব সাবধানে এবং ধীর গতিতে চলাফেরা করে। রাস্তার দুই ধারে গড়ে উঠছে নতুন নতুন আবাসিক হোটেল। বৈদ্যুতিক খুটি গুলো এখনই অপসারণ করা না হলে অদূর ভবিষ্যতে পর্যটন নগরবাসীকে পড়তে হবে চরম বিড়ম্বনায়।
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ইয়াসিন সাদেক বলেন, পর্যটন নগরী কুয়াকাটা পৌরসভাকে আরও নান্দনিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নতুন নতুন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। রাস্তার মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো পৌরসভার গলার কাঁটা। খুঁটি অপসারণের জন্য ইতোমধ্যে আমরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অবগত করেছি। তারাই কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে এবং নান্দনিক পৌরসভা গড়তে সহযোগিতা করবে।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মো. আবুল কাশেম বলেন, কুয়াকাটা পৌরসভা থেকে আমাদেরকে চিঠি দেয়ার পর আমরা তাদেরকে স্টিমেট করে চিঠি পাঠিয়েছি তবে তারা কোন অর্থ জমা দেয় নাই বিধায় আমরা কোন সাহায্য করতে পারছি না। যদি নিতান্তই তাদের ফান্ড না থাকে তবে তারা আমাকে চিঠি প্রদান করলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available