স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সাততলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে ফারিহা আনমিম (১১) নামে এক মাদ্রাসার ছাত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
৩০ জুন সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) মো. শাহীনুর আলম।
এর আগে রোববার বিকেলে আছরের নামাজের সময় সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ড পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানের বিমান ভবন নামক বাড়িতে অবস্থিত জামিয়া মাদানিয়া হাদিউল উম্মাহ মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী ফারিহা।
ঘটনার পর শিশু ফারিহাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
মাদ্রাসার মুহতামি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস জানান, বিকেল ৫টায় আসরের নামাজের ছুটির সময় সবাই যখন অজু করা নিয়ে ব্যস্ত তখন মাদ্রাসা খুছুছী বিভাগের ছত্রী ফারিহা আনমিম সাততলা ভবনের ছাদের রেলিং টপকে লাফিয়ে পড়েন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।
আহত শিক্ষার্থীর খালা তিতলি গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন, ‘অকারণে ফারিয়ার লাফ দেওয়ার কথা না। তার ওপর ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে খবর না দিয়েই হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এটাও আমাদের কাছে সন্দেহের। পরে আমরা খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছি। আমরা এটার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’
এ বিষয়ে ওসি শাহিনুর আলম বলেন, ‘মেয়ের পরিবার বা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কোনো অভিযোগ জানায়নি। আমরা তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে সেখানে পুলিশ পাঠাই। আমাদের থানার একজন এসআই এখনও হাসপাতালে আছেন। শিশুটি এখন সুস্থ। এছাড়াও আমরা মাদ্রাসার ভিতরে গিয়েছিলাম, সেখানে শিশু ফারিহার সহপাঠী, শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি।’
শিক্ষকদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন দুপুরে ক্লাস চলাকালে ফারিহাকে অন্যমনস্ক দেখেছে শিক্ষকরা। তার শরীল খারাপ করছে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্নও করা হয়েছে। তবে ফারিহা কিছু বলেনি। শিক্ষকরা তাকে বিশ্রামের জন্য তার রুমে পাঠিয়ে দেয়। পরে বিকেলের নামাজের সময় হঠাৎ শব্দ পেয়ে তারা দৌড়ে যায়। সেখানে দেখা যায় ফারিহা ৭ তালা থেকে লাফ দিয়েছে। একটা শিশু কেন লাফিয়ে পরবে সে বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available