ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আলোচিত শিরিনা খাতুন (২৮) ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি শিমুল (২৭) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
৩ মে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া এলাকায় তার ফুফুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামি শিমুল হোসেন (২৭) উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর বালুরখাদ মোড় এলাকার মৃত ইব্রাহিমের ছেলে।
থানায় এজাহার সূত্রে জানা যায়, পাবনা সরকারি এ্যাডওয়ার্ড কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় গত ২ বছর পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসামি শিমুলের সহিত পরিচয় হয় শিরিনার। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। আসামির সহিত ধর্ষিতার প্রেম ভালোবাসার সূত্র ধরে তাকে ঈশ্বরদী থানা এলাকার বিভিন্ন পার্কে ও আসামির আত্মীয়স্বজনের বাসা বাড়িতে নিয়ে বিবাহ করার প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক মেলামেশা করে। গত ২৫ নভেম্বর মুলাডুলির একটি পার্কে ধর্ষক শিমুল শারীরিক মেলামেশা করতে চাইলে ভিকটিম তাকে বাধা প্রদান করলে সে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
সূত্র আরও জানায়, এক মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হলে ভিকটিমের ঋতুস্রাব না হওয়ায় পরীক্ষা করার পরে জানতে পারে যে, সে গর্ভবতী। ভিকটিম আসামি শিমুলকে বিষয়টি অবগত করে ও বিবাহের জন্য চাপ দেয়। আসামি তাকে বিবাহ না করে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলে এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করলে সে বিবাহ করবে বলেও জানান। এমতাবস্থায় বিবাহের দাবিতে ভিকটিম ঈশ্বরদী থানাধীন সলিমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর বালুর খাদ মোড় গ্রামস্থ আসামির পিতার বসত বাড়িতে যায় এবং সেখানে অনশন করেন। অনশন কালে সেখানে লোকজন তাকে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং শিমুলের সঙ্গে বিবাহ দিতে অস্বীকার করলে ভিকটিম আইনের আশ্রয় নেয়।
ঈশ্বরদী থানার এসআই শরিফুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি শিমুল ভিকটিমের সাথে তার সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছে। তাকে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের মাধ্যমে পাবনা জেল হাজতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available