নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ত্ববিরোধী অপশক্তির প্রতিভূ হলো বিএনপি। বিএনপিই এদেশের মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা ও অগ্রগতির প্রধান অন্তরায়। বিএনপি আন্তর্জাতিক আদালত কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে বিএনপি আবারও দেশকে অশান্ত করার নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
৮ এপ্রিল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনকল্যাণের ব্রত নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন-অগ্রগতির মধ্য দিয়ে জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। যার সুফল সকল পর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছেছে। সড়ক যোগাযোগ ও রেলপথের যুগান্তকারী উন্নয়নের ফলে মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বস্তির সঙ্গে ঈদযাত্রা করতে পারছে। পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে মানুষ যখন উৎসবের আমেজে রয়েছে বিএনপি নেতারা তখন মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য প্রদান করে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টির পায়তারা করছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছে। একই সঙ্গে তারা সীমান্ত অরক্ষিত থাকার কথা বলেছেন! সীমান্ত অরক্ষিত থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অক্ষুন্ন রাখতে সর্বদা বদ্ধপরিকর। পার্বত্য অঞ্চলে যে ঘটনা ঘটেছে, সরকার সার্বক্ষণিক সুনিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। অতি শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তস্নাত বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের কোনো ঠাঁই নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান এবং তার দল বিএনপি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভয়াভয় রক্তাক্ষয়ী পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। অন্যদিকে শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে রক্তপাতহীন ও শান্তিপূর্ণভাবে ঐতিহাসিক শাস্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতা গ্রহণের পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আবারও সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় বাংলাদেশ। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সন্ত্রাসী সংগঠনসমূহের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দশ ট্রাক অস্ত্রের চালানসহ অসংখ্য সন্ত্রাসী অপতৎপরতা প্রত্যক্ষ করে দেশবাসী ।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বিএনপি দলগতভাবে মিথ্যাচার উৎপাদন করে এবং তার বিস্তার ঘটিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। গতকাল তাদের মিটিং থেকে একইভাবে মিথ্যাচার করা হয়েছে। তাদের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার-নির্যাতনের মিথ্যা ও কল্পিত বয়ান তুলে ধরে বিএনপি সিমপ্যাথি-কার্ড খেলতে চাচ্ছে। আওয়ামী লীগ বিরোধী দল ও মতকে দমন-পীড়নের রাজনীতি করে না। যারা নিরীহ মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করেছে সেসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের মানুষ বিএনপির প্রকৃত চেহারা চেনে । তাই বিএনপি মিথ্যাচারের মাধ্যমে যতই সিমপ্যাথি-কার্ড খেলার চেষ্টা করুক না কেন, জনগণ তাতে সাড়া দেবে না। ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও মিথ্যাচারের অপরাজনীতি পরিহার না করলে, রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া বিএনপি ব্যর্থতার ভারে ন্যুব্জ হতে হতে ইতিহাসের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available