নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ, উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক। নির্বাচনকে ঘিরে যে উৎসবমুখর পরিবেশে দেখা যেতো, সেই পরিবেশকে ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। নির্বাচনে দেশের জনগণ তাদের পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিতে পারবেন।
২৮ জুন শনিবার বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি বন্ধ ও যোগ্য ব্যক্তি যাতে প্রার্থী হতে পারেন সেজন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এজন্য নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটি প্রস্তাবনা পেশ করেছে। আশা করছি, দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় ও উৎসবমুখর ভোট আপনারা দেখতে পাবেন।
শফিকুল আলম বলেন, খুলনার উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ দৃষ্টি আছে। এই শহরের উন্নয়নের সঙ্গে মোংলা বন্দরের ব্যবহার বাড়ানোর সম্পর্ক আছে। মোংলা বন্দরের উন্নয়নের জন্য সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মোংলা বন্দরের পাশে অর্থনৈতিক জোনে শিল্প কারখানা স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছে চীন। এজন্য বিডা কাজ করছে।
বেসরকারি খাতে খুলনায় নতুন নতুন পাট শিল্প কারখানা স্থাপনে উদ্যোগী হলে সরকার তাদের সহায়তা দেবে বলেও জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, সরকারি অনুদানে আর ইন্ডাষ্ট্রি চালানো সম্ভব না। এখানে বেসরকারি উদ্যোগ নিতে হবে। সেজন্য বিডা, কমার্স মিনিস্ট্রি, এডুকেশন মিনিস্ট্রি, ফরেস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে। শিক্ষা শহর হিসেবেও বেড়ে ওঠার সুযোগ আছে খুলনার। অনেকগুলো সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এখানে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় খুলনা শহরে অনেক ক্লাইমেট রিফুজি আসছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের জন্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। তারা যাতে নিরাপদ আবাসন পান সে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শ্যামনগর গাবুয়ায় এলজিইডির উদ্যোগে নিরাপদ পানি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এখন সেটা সমস্ত উপকূল এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
শফিকুল আলম জানান, সরকারের নানা উদ্যোগ এখন দৃশ্যমান না হলেও এক সময় তা দেখা যাবে এবং আগামী এক দশকে খুলনা ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
খুলনার বন্ধ হয়ে যাওয়া জুট মিলগুলোতে যে সব স্কুল আছে, সবগুলোকে সরকারি করণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, গত ২৬ জুন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির বৈঠকের বিষয়ে বিএনপি জানতে চেয়েছে। বৈঠকটি শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। তাই সামনে আনার মতো কোনো কারণ নেই।
সভায় ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available