আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ‘এখনই যুদ্ধ থামানোর’ আহ্বান জানিয়েছে ২৮টি দেশ। এসব দেশের মধ্যে- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। খবর বিবিসি
যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে এসব দেশ। তবে আল জাজিরাসহ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দেশের সংখ্যা ২৫ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গাজায় প্রায় গত ২১ মাস ধরে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটির ২০ লাখের বেশি বাসিন্দার মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমন এক সময়ে গতকাল সোমবার ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত দেশগুলো এই যৌথ বিবৃতি দিল।
বিবৃতিতে একটি সমঝোতাভিত্তিক অস্ত্রবিরতি, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে আটক বন্দীদের মুক্তি এবং জরুরি মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবাহের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অল্প অল্প করে ত্রাণ সরবরাহ এবং ত্রাণপ্রত্যাশী শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের নৃশংসভাবে হত্যার আমরা নিন্দা জানাই। এসব মানুষ শুধু পানি ও খাবারের মতো ন্যূনতম প্রয়োজন মেটাতে চেয়েছিল।
জাতিসংঘ ও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজাকে সম্পূর্ণ অবরোধ রাখার পরে গত মে মাসের শেষের দিক থেকে ইসরায়েল তা শিথিল করে। এরপর ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ৮৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
যৌথ বিবৃতিতে দেশগুলো বলেছে, ইসরায়েল সরকারের ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা বিপজ্জনক, যা অস্থিরতা বাড়াচ্ছে এবং গাজাবাসীর মানবিক মর্যাদা কেড়ে নিচ্ছে। ইসরায়েল সরকার বেসামরিক জনগণকে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা না দিয়ে যা করছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইসরায়েলকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, গ্রিস, জাপান, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ড। দেশগুলোর পক্ষে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available