আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৬ জন সেনা নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন।
২৮ জুন শনিবার দুপুরে প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় ঘটেছে এ ঘটনা।
উত্তর ওয়াজিরিস্তানের একজন সরকারি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, সেনাবাহিনীর গাড়িবহরের মধ্যে একটি বিস্ফোরকবাহী গাড়ি ঢুকে পড়েছিল এবং ঢোকার প্রায় পরপরই ঘটে বিস্ফোরণ। এতে ১৩ জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন। নিতহদের সবাই সেনাবাহিনীর। আহতদের মধ্যে ১০ জন সামরিক বাকি ১০ জন বেসামরিক।
এছাড়া বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী দু’টি বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে এবং এতে ৬ জন শিশু আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। আহত দশ জন সেনার মধ্যে চার জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে হাসপাতাল সূত্রে।
পাকিস্তানভিত্তিক তালেবান গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর উপশাখা হাফিজ গুল বাহাদুর আর্মড গ্রুপ ইতোমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের চার প্রদেশ ও তিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান— এ দু’টি প্রদেশে গত কয়েক বছরে সন্ত্রাসী তৎপরতা ও হামলার নাটকীয় উল্লম্ফন ঘটেছে। খাইবার পাখতুনখোয়া মূলত পাকিস্তানপন্থি তালেবান গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ঘাঁটি অঞ্চল। অন্যদিকে বেলুচিস্তানে ব্যাপকভাবে তৎপর বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। দুই গোষ্ঠীরই চূড়ান্ত লক্ষ্য খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানকে পাকিস্তানের মানচিত্র থেকে বিচ্ছিন্ন করা।
২০২১ সালে তালেবান গোষ্ঠী কাবুলে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে সন্ত্রাসী হামলার উল্লম্ফন ঘটেছে হচ্ছে পাকিস্তানে। গত বছর ২০২৪ সাল ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ বছর। ২০২৪ সালের বছরজুড়ে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা ৪৪টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শতকরা হিসেবে গত এক দশকের মধ্যে ২০২৪ সালে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার হার ছিল ৪০ শতাংশ বেশি।
এসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৮৫ জন সেনা এবং ৯২৭ জন বেসামরিক মানুষ। বিপরীতে গত বছর সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযানে নিহত হয়েছে ৯৩৪ জন সন্ত্রাসী।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available