আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে কয়েকশ মানুষ নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ১৬ মে মঙ্গলবার স্থানীয় রোহিঙ্গা অধিকার সংরক্ষণকারী সংস্থা পার্টনার্স রিলিফ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়েছে, রাখাইনে কয়েকশ মানুষ নিহত হওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পুরোপুরি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই কয়েকশ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী অং কো মো টুইটারে লিখেছেন, শুধুমাত্র রাখাইনের রাজধানী সিট্যুয়েতেই ৪০০ মানুষের প্রানহানী হয়েছে। তিনি রোহিঙ্গাদের ধ্বংসপ্রাপ্ত বেশ কয়েকটি ভবনের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছেন।
২৫০ কিলোমিটার গতি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর ১৫ মে সোমবার রাতে দেশটির সামরিক জান্তা রাখাইনকে দুর্যোগপূর্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে রাখাইনে মোবাইল টাওয়ার, গাছ-পালা, বাড়ির ছাদ, টিনের চালা উড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাকারী সংস্থা কর্ডিনেশন অব হিউমেনিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ইউএনওসিএইচএ) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে রাখাইনের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। রাজধানী সিট্যুয়ে এবং এর আশপাশের অঞ্চলগুলোতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক তথ্যানুসারে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশাল। এছাড়া গৃহযুদ্ধের কারণে যেসব মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন তাদের আরও বেশি সাহায্যের প্রয়োজন হবে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির প্রবাহ পথে প্রায় ২ লাখ মানুষের বসবাস ছিল। রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীও এর মধ্যে পরে। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী দমন-পীড়ন শুরু করলে এদের অনেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। আবার অনেকেই রাখাইনে থেকে গেলেও তাদের বেশিরভাগেই এখন আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করেছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2023, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available