নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার তাতারকান্দা এলাকায় এক বছর তিন মাস আগে সংঘটিত ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি ফিরোজ মিয়ার হত্যাকাণ্ডের রহস্য অবশেষে উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা, চাপাতি ও ছোরা।
দীর্ঘ এক বছর তিন মাসে চারবার তদন্ত কর্মকর্তার বদল হলেও অগ্রগতি ছিল না। অবশেষে বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাদিকুর রহমান ও এসআই রেজাউল করিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করে। গ্রেফতার করা হয় কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য হলেন, জহিরুল মিয়া (২৫) ও আমিন মিয়া (২৪),
দুজনই কালুয়ারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তাদের দেখানো মতে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি, দা ও ছোরা উদ্ধার করা হয়।
শিবপুর থানার ওরি আফজাল হোসেন বলেন, মামলাটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। দীর্ঘদিন ধরে কোনো কার্যকর অগ্রগতি ছিল না। তবে আমরা হাল ছাড়িনি। প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে অবশেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
নরসিংদী জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান (এসপি) বলেন, এই ঘটনার উদঘাটন প্রমাণ করে, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। আমরা কিশোর গ্যাং নির্মূলসহ সকল অপরাধ মোকাবিলায় জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছি। খুব শিগগিরই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।
২০২৪ সালের মার্চ মাসে শিবপুর উপজেলার তাতারকান্দা জান্নাতুল বাকী জামে মসজিদের পাশের সড়কে ফিরোজ মিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় একদল দুর্বৃত্ত। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর নিহতের পরিবার শিবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে (মামলা নম্বর: ১১(০৩)২৪)।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available