অনামিকা আক্তার, ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মেডিকেল সেন্টারে নিয়মিত ডাক্তার না থাকার অভিযোগ উঠেছে। মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে সেবা না পেয়েই চলে যেতে হয় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের। পাওয়া যায় না ডাক্তারও।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নেই উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা। মাত্র তিন কক্ষ বিশিষ্ট এ চিকিৎসা কেন্দ্রে আছেন দুইজন ডাক্তার , একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও একজন নার্স। প্রয়োজনে তাদেরও পাওয়া যায়- এমনটাই বলছেন শিক্ষার্থীরা।
অসুস্থ এক শিক্ষার্থী জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪০মিনিটে তিনি মেডিকেল সেন্টারে যান। প্রথমবার অনেক অসুস্থতা নিয়ে তিনি মেডিকেল সেন্টারে গেলে, ‘স্যার একটু বাহিরে গিয়েছেন’ বলে জানান ওখানকার একজন স্টাফ। ১০ মিনিট পরে আসতে বলা হয়। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী ২০ মিনিট পরে ১২টার দিকে গেলে জানান ডাক্তার সাহেব তো আসেনি। মেয়র আসবে, সেখানে গিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি গত কয়েকদিন গিয়েছি ডাক্তারের খোঁজ পাইনি। প্রায় এমন ঘটনা ঘটে। আমরা গেলে ডাক্তার পাওয়া যায় না।
বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, একদিন মেডিকেলে গিয়েছিলাম, বললো- ডাক্তার নেই। অপেক্ষা করার পরেও আসলো না। আর একজন মহিলা ছিলো, সে এমনভাবে আচরণ করলো যেটা শোভনীয় মনে হয়নি। প্রবেশের সাথে সাথেই কি কাজ, কেন আসছেন, কি সমস্যা এমন কথা বলা শুরু করছে। মনে হচ্ছে, আমি অপরাধ করে ফেলেছি। আমার এক বন্ধু রক্তচাপ মাপতে চাইছিলো। তখন ওখানে বসা একজন মহিলা স্টাফ বললো মেপে নিতে। পরে দেখলাম মহিলা স্টাফ আরেকজনের সাথে গল্প করতেছিলো।
এদিকে জরুরি প্রয়োজনে রোগী বহনের জন্য রয়েছে মাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স। চিকিৎসা খাতে নেই পর্যাপ্ত বরাদ্দ। এরমধ্যে ফলে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ও সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ তানজীন হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমি সকালে মেডিকেল সেন্টারে ছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রোগ্রাম থাকায় বেলা ১২টার পরে আমি প্রোগ্রামে আসি। এখানে ভিসি স্যারেরাও আছেন।
দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাহ! এমন কোনোদিন হয়নি। এই অভিযোগটি মিথ্যা। নামাজের সময় হয়তো কেউ আসলে ফিরে যান।
মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্বরত চিকিৎসক ও সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাম্মী আরা নিপা মুঠোফোনে বলেন, আমি আজ একটু অসুস্থ ছিলাম। তারপরেও আমি এসেছি। তাছাড়া মেডিকেল সেন্টারে আমাদের মাত্র দু’জন চিকিৎসক আছি। তাই বিভিন্ন ট্রেনিং বা মিটিংয়ে থাকার কারণে কিছু সময়ে হয়তো সেখানে থাকতে হয়।
এ বিষয়ে জানার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেন নি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available