ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে র্যাগিংয়ের নামে ছাত্রীকে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় সেই হলের সিসিটিভি ফুটেজের সকল ভিডিও উদ্ধারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সিসি ক্যামেরা সচল কিনা তা দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১১ মার্চ শনিবার আইসিটি সেলের প্রধান অধ্যাপক ড. আহসান উল আম্বিয়াকে আহ্বায়ক করে এক সদস্যবিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান। এসময় তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা অভিযুক্ত হালিমা খাতুন উর্মীর মোবাইল উদ্ধার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বলেন, কেউ যদি ইচ্ছা করে ফোন লুকিয়ে রাখে বা নষ্ট করে ফেলে তাহলে তো তা পাওয়া দুষ্কর। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে আমাদের কাজ চলমান আছে।
হল সূত্রে জানা যায়, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে বারান্দা, ডাইনিং, অফিস, করিডোরসহ মোট ১২টি সিসিটিভি রয়েছে। যার ফুটেজ হল প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে থাকার কথা রয়েছে। তদন্তে ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী সেদিন রাতে ডাইনিংয়ে নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে কমিটি। সে হিসেবে ডাইনিংয়ের সিসিটিভিতে ভিডিও ফুটেজ থাকার কথা।
বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি হল কমিটির কাছে ফুটেজ চাইলে তা সরবরাহ করতে পারেনি। হল থেকে জানানো হয়, টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে হল কর্তৃপক্ষ ফুটেজ সংগ্রহ করতে পারিনি। সেজন্য হল প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলকে দায়িত্ব দিয়েছিল। আইসিটি সেলও উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেলের পরিচালক ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহসানুল আম্বিয়া বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার মতো এমন প্রত্যেকটি ডিভাইসে বায়োসের ব্যাটারি লাগানো থাকে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরও যেন ক্যামেরা সচল থাকে এজন্য এটা লাগানো হয়। হলের ওই সিসিটিভি ক্যামেরায় লাগানো বায়োসের ব্যাটারিটা আগেই নষ্ট হয়ে গেছে, যেটা হয়তো হলের কেউ লক্ষ্য করেনি। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিশিয়ান দিয়ে এ সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। বাইরে থেকে অভিজ্ঞদের আনলে হয়তো সম্ভব হতে পারে।
এর আগে, গত ৬ মার্চ হাইকোর্ট ফুলপরীর উপর নির্যাতনের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনাপত্র প্রকাশ করেছে। হাইকোর্ট বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার, সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনাপত্রে হল প্রশাসনের সিসিটিভি ফুটেজ সরবরাহে ব্যর্থতায় আলাদা করে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। অভিযুক্ত হালিমা আক্তার উর্মীর মোবাইলে ধারণকৃত নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ দ্রুত উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল আছে কিনা এব্যাপারে স্মুথ অপারেশনের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available