অমৃত রায়, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অনাবাসিক হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্যাম্পাসে আসা যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। আর এই বাস পরিচালনা করে পরিবহন দফতর। নানা রকম সংকট আর ঝুট-ঝামেলা নিয়েই চলছে এ দফতর।
তেল চুরির ঘটনা প্রকাশের পর এ দফতরের দিকে নজরদারী বাড়লেও তা একেবারে থেমে যায়নি। তবে তেল চুরি কম হওয়ায় সাশ্রয় হচ্ছে এটা লক্ষণীয় হয়েছে পরিসংখ্যানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবণের দক্ষিণ দিকে সেকেন্ড গেইটের পাশে খালি জায়গায় বাসের ছোটখাটো মেরামতের জন্য একটি ওয়ার্কশপ করার কথা বছর ধরে শুনলেও তার কোনো প্রকার কোনো অগ্রগতিই লক্ষণীয় নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। বেশ কিছু বাসের সমস্যা বরাবরই বিদ্যমান থাকলেও তা সমাধানের পদক্ষেপও দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বাস যাওয়া আসা করে না। কিন্তু অফিস, দফতর আর বিভাগে শিক্ষরা আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ও সম্পন্ন হয় মঙ্গলবারকে কেন্দ্র করে। যার কারণে প্রায় সব রুটেই বাস চলাচল করতে হয়। এতে করে কিছু রুটে দেখা যায় এক-দুই জন শিক্ষকের জন্যও পরিবহন ব্যবস্থা করতে হয়। এতে জ্বালানির বেশি খরচ হয়।
পরিবহন দফতরের গুরুদায়িত্ব পালন করছেন পরিবহন প্রশাসক সহযোগী অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিক। তিনি জানান, সাশ্রয় যে হচ্ছে না বিষয়টা এমন না। তেল চুরি অনেক কমে গেছে। যার কারণে পরিবহনের জ্বালানি খরচটা এখন অনেকটাই কমেছে। আর মঙ্গলবার বন্ধ থাকার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব দফতরের শিক্ষকদের গাড়িতে আসা যাওয়ায়, যে সাশ্রয়ের লক্ষ্যে মঙ্গলবার বন্ধ রাখা হয়েছে তা কার্যকর হচ্ছে না।
পরিবহনের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, কেবল ১০ শতাংশ বা তারও কম জ্বালানি সাশ্রয় হচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available