কুবি প্রতিনিধি: পাঁচ দফা দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেছে। ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগ, হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনি পরামর্শক নিয়োগ, অছাত্র, বহিরাগত ও একাধিক মামলার আসামীদের হলে উঠা, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর ( এনায়েত উল্লাহ ও সালমান চৌধুরী) সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল স্তরের স্টকহোল্ডাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদানের দাবি করেন।
পাঁচ দফা দাবী ছাড়াও তারা আরও তিনটি কর্মসূচি দিয়েছে। তা হলো- বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিচারের দাবিতে প্রতিকী প্রতিবাদ মিছিল, আগামী রবিবার (১২ মার্চ) মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, সোমবার (১৩ মার্চ) বিক্ষোভ মিছিল।
এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম, শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সভাপতি রাফিউল আলম দীপ্ত, কাজী নজরুল ইসলাম হলের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হাসান পলাশ, নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসরাত জাহান জেরিন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ ও একই হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী সহ আরো অনেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'আজকের একটা সাংবাদিক সম্মেলনের লাইভ দেখলাম, তাদের দাবীগুলো যদি খেয়াল করে দেখা যায়, গতকালকের হামলার অভিযুক্তদের শাস্তির দাবী না জানিয়ে সব দোষ প্রক্টরের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর আমার বিরুদ্ধে তাদের নিদিষ্ট কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি যদি ইন্দনদাতা হয়ে থাকি তাহলে তা প্রমাণ করতে হবে। গতকালকের ঘটনা ঘটছে ক্যাম্পাসের সামনে। আর যারা হামলা করেছে তারা সবাই বহিরাগত। সেক্ষেত্রে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসাবে আমি কোন পদক্ষেপ নিতে পারবো না। এটার পদক্ষেপ নিবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।'
উল্লেখ্য, গতকাল সদ্য বিলুপ্ত কমিটির তিন নেতাকে মারধর করে এবং একই দিন বিকাল ৫ টা থেকে অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
পরবর্তীতে দেড় ঘন্টা পর কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানের আশ্বাসে অবরোধ থেকে সরে আসে নেতাকর্মীরা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available