ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে একাধিক অনিয়ম উদ্ঘাটন করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২৯ জুন রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে ডাক্তার না হয়েও চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় এক ফিজিওথেরাপিস্টকে তিন দিনের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূইয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুস্তাফিজুর রহমান, মেডিকেল অফিসার ডা. রায়হান তালুকদার, ডা. রাহাত হোসেন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শফিউর রহমান ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম।
অভিযান চলাকালে শহরের মৌলভীপাড়ায় অবস্থিত ‘পিএসপি ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড লেজার থেরাপি সেন্টার’র মালিক স্বপন চন্দ্র সাহাকে ফিজিওথেরাপিস্ট হয়েও নিজেকে ‘ডাক্তার’ পরিচয় দিয়ে রোগী দেখা ও চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে আটক করা হয়। পরে তাকে তিনদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি তাৎক্ষণিকভাবে সিলগালা করে দেয়া হয়।
অভিযানে আরও কয়েকটি ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতালকে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে জরিমানা করা হয়। শহরের হাসপাতাল রোডে অবস্থিত পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও দুই মাসের মধ্যে ভবনের নিচতলা থেকে কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জেলরোডে অবস্থিত আল খলিল ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালকে ১৫ হাজার টাকা এবং গ্লোবাল অর্থোপেডিক হাসপাতালকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ‘বিভিন্ন সময় সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমাদের কাছে অবৈধ ক্লিনিক ও চিকিৎসকদের বিষয়ে অবহিত করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জনস্বার্থে আমাদের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available