মো. হানিফ মেহমুদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
১৮ জুন বুধবার দলীয় প্যাডে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবগঠিত কমিটির অনুমোদন দেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
নবগঠিত গোমস্তাপুর উপজেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়েছে নূরে আলম সিদ্দিক খলিল হাজীকে। তিনি গত ২০২১ সালের ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন।
উপজেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী নূরে আলম সিদ্দিক খলিল হাজীর দাবি, তিনি নিজেও জানেন না কীভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এনসিপির কমিটিতে। এর প্রতিবাদও জানান তিনি। কমিটি ঘোষণা পরই এ বিষয়ে তিনি তার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বক্তব্য তুলে ধরেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘প্রিয় এলাকাবাসী, আপনাদের সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি মো. নূরে আলম সিদ্দীক (খলিল) এনসিপির কোনো দায়িত্বে নেই। কিছুদিন হলো এনসিপির কয়েকজন আমার সাথে যোগাযোগ করে তাদের সাথে থাকার জন্য, আমি তাদের বলি, আমি ভাল যেকোনো কাজে থাকবো। আমাকে পদ দেওয়া হবে বা আমি পদে থাকবো এমন কোনো কথা হয়নি। তারপরও তারা গোমস্তাপুর উপজেলা কমিটিতে আমার নাম প্রকাশ করে। এটা ইচ্ছাকৃত/অনিচ্ছাকৃত তাদের ভুল, আমি কারও মনে আঘাত করতে চাই না। আমি এলাকাবাসীর সকল ভাল কাজে থাকতে চাই, ভাল কাজ করার জন্য পদ দরকার না, দরকার মনমানসিকতা। দোয়া করবেন, যেন আপনাদের সাথে আমি থাকতে পারি। আমার জন্য কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
এ বিষয়ে মুঠোফোনে উপজেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী নূরে আলম সিদ্দিক খলিল হাজী বলেন, আমি জামায়াতের কোনো পদ-পদবীতে নেই, আগেও ছিলাম না। তবে আমি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করলে জামায়াত আমাকে সমর্থন দেয়। গত ১৮ জুন এনসিপির উপজেলা কমিটিতে আমাকে না জানিয়ে পদবী দেয়া হয়েছে। বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে।
এ নিয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. আবু মাসুদ। একই কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মো. আলাউল হক জানান, উপজেলা কমিটি ঘোষণার পরপরই সেই কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী নূরে আলম সিদ্দিক খলিল হাজী এনিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে এবং অবগত হয়েছি। এ নিয়ে সেখানকার দায়িত্ব প্রাপ্তদের সাথে কথা বলে বিষয়টির সুরাহা করা হবে।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা জামায়াতের আমির ইমামুল হুদা বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করেনি। তবে নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা ছিল, কেউ চাইলে ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তেমনভাবেই নূরে আলম সিদ্দিক খলিল হাজীকে গত চৌডালা ইউপি নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু আগামী নির্বাচনে ইতোমধ্যে আমরা অন্যজনকে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছি। বিভিন্ন মাধ্যমে এনসিপিতে তার পদবীর বিষয়টিও জানতে পেরেছি। তবে নূরে আলম সিদ্দিক খলিল হাজী জামায়াতে ইসলামীর কোন পদে নেই বা আগেও ছিল না বলে জানান তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available