• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৬:০২:৩৯ (26-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৬:০২:৩৯ (26-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

পার্বত্য অঞ্চলে বিলুপ্তের পথে মাচাং ঘর

২৭ এপ্রিল ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮:৫৮

পার্বত্য অঞ্চলে বিলুপ্তের পথে মাচাং ঘর

বিপ্লব তালুকদার, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়েরা নানানভাবেই শিল্পী। তাদের অনেকেই নিজেদের পোশাক নিজেরাই তৈরি করেন। চাষাবাদের ক্ষেত্রেও রয়েছে তাদের ভিন্ন পদ্ধতি। পাহাড়ের ঢালুতে ভিন্ন কায়দায় বিশেষ পদ্ধতিতে তাদের তৈরি মাচাং ঘর।

জানা গেছে, আদিকাল থেকে পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলো বন্য পশু ও জীবজন্তুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মাচাংঘরে বসবাস করত। মাচাংগুলো সাধারণত মাটি থেকে ৫ থেকে ৬ ফুট উঁচু করে তৈরি হতো। আর মাচাং তৈরির একমাত্র উপকরণ ছিল পাহাড়ি ছন ও বাঁশ। তাই একসময় পাহাড়ে ব্যাপক ছনের কদর ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তন ও জুম চাষের কারণে হুমকিতে পড়েছে পাহাড়ি ছনের ঘর।

পাহাড়ের ৬০ বছর বয়সী পাহাড়ী বৃদ্ধ বাসিন্দা জানিয়েছেন, আজকাল জঙ্গলে বাঁশ পাওয়া যায় না। বাজারে কিনতে পাওয়া বাঁশের দাম অনেক বেশি। তাই এখন আর মাচাং ঘরের দেখা মেলে না। সম্পূর্ণ বাঁশ, গাছ ও ছন দিয়েই তৈরি হতো মাচাং ঘর। ঘরের মূল খুঁটিগুলো হতো গাছ দিয়ে।

তিনি জানান, আবার অনেক ক্ষেত্রে বড় বড় বাঁশের খুঁটি দিয়েও তৈরি হয়ে থাকে এ ঘর। মাচাংয়ের সঙ্গে খুঁটির যে সন্ধি বা সংযোগ রয়েছে সেগুলো বাঁধাই করা হতো বাঁশের বেত দিয়ে। অল্প বয়সী কঁচি বাঁশ হতে তৈরি করা হয় এই বেত। বাড়ির মাচাংকে ধরে রাখতে মাচাংয়ের সমান্তরাল বাঁশের সঙ্গে খুঁটির প্রত্যেকটি সন্ধিতে মাটি থেকে দেওয়া হতো ঠেস।

তিনি আরও জানান, কাঠ, বাঁশ ও ছন দিয়ে তৈরি মাচাং ঘরের তেমন দেখা মেলে না। বাঁশ, বেত আর খুঁটির দাম বেশি হওয়ায় মাচাং ঘরের প্রতি তেমন আগ্রহ নেই পাহাড়িদের। যে কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই ঘর।

জানা গেছে, জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং পাহাড় থেকে বাঁশ ও ছন হারিয়ে যাওয়ার ফলে বর্তমানে পাহাড়ের বিভিন্নস্থানে বাঁশের, ছনের তৈরি ঘরের সংখ্যা কমেই যাচ্ছে। জুম পাহাড়ের শীর্ষে কিংবা ছোট বাগান বাড়িতে একসময় জমির মালিকরা মাচাং ঘর তৈরি করে সেখানে তাদের সময় ব্যয় করত। কিন্তু কালের বিবর্তনে চাহিদার মতো বাঁশ, গাছ ও ছন না পাওয়ায় এখন পার্বত্য জেলাগুলো মাচাং ঘর হারিয়ে যাওয়ার পথে।

এ ব্যাপারে পাহাড়ের বসবাসরতরা  জানিয়েছেন, সচ্ছল ব্যক্তিরা মাচাং ঘর তৈরি করে না। কারণ  এ ঘর তিন থেকে চার বছরের বেশি টিকে না। তাছাড়া বন-জঙ্গলে প্রতিনিয়ত উজাড় হচ্ছে প্রচুর গাছ-বাঁশ।

খরচ একটু বেশি হলেও স্থায়িত্বের কথা ভেবে অনেকেই ইট-পাথরের ঘর তুলতে আগ্রহী। আদিকাল থেকে পার্বত্য এলাকায় বসবাস করা পাহাড়ি সম্প্রদায় মাচাং ঘরে বসবাস করে আসছে। তারা ঘর তৈরির কথা ভাবলেই মাচাং ঘরের কথা বলতো। বন জঙ্গল থেকে ভালোমানের বাঁশ ও ছন নিয়ে মাচাং ঘর তৈরি করত। কিন্তু এখন মাচাং ঘর হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের কাছ থেকে। ঐতিহ্যবাহী মাচাং ঘরকে টিকে রাখতে হলে সরকারি-বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ








হরিরামপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে হত্যা
২৫ এপ্রিল ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৮:৩২


রামগঞ্জে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন
২৫ এপ্রিল ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:২৩:৫৪