• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০২:৩৯:৫৮ (13-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০২:৩৯:৫৮ (13-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

আখাউড়ায় সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় ভোগান্তিতে ১৫ হাজার মানুষ

২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সকাল ০৯:৫৯:২৪

আখাউড়ায় সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় ভোগান্তিতে ১৫ হাজার মানুষ

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মাঝি গাছা ও নয়ামুড়া গ্রামকে যুক্ত করেছে দুই কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৫ মিটার দৈর্ঘ্যের নির্মাণ করা সেতুটি। সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক।

এ কারণে সেতুতে ওঠানামা করতে হয় বালির বস্তা বেয়ে। এতে শিক্ষার্থীসহ ভোগান্তিতে পড়েছে নয়ামুড়া, কর্মমট, হরিপুর, ধর্মনগর, রাজ মঙ্গলপুর, ঘাগুটিয়াসহ ১১টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। ব্রিজ থাকলেও রাস্তা না থাকায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

ফলে বিকল্প পথ হিসেবে টনকি অথবা নয়া বাজার হয়ে গোপনাথপুর দিয়ে ৫-৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে তার বলেন, ৮/৯ মাস হয়ে গেছে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে অথচ সংযোগ সড়ক নেই। বালির বস্তা বেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুতে উঠতে হয়।

এ সেতু নির্মাণের পর জনগণের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। ব্রিজ পার হওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কর্মমট উচ্চ বিদ্যালয়, টনকি ছাদেকুল উলুম আলিম মাদ্রাসা, মনিয়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয় ও গোপনাথপুর আলহাজ্ব শাহআলম কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারও মানুষ প্রতিদিন বালুর বস্তা দিয়ে করা সিঁড়ি বেয়ে সেতু পারাপার হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দ দেওয়া ২ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে মাঝি গাছা নয়মুড়া সড়কের কাজার বিল বাল্লা খালের ওপর ৩৫ মিটার দৈর্ঘ্যের আরসিসি গার্ডার সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করা হয়। গত ৮ মাস আগে নির্মাণ কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লোকমান এন্টারপ্রাইজ।

ধর্মনগর গ্রামের বাসিন্দা গাউছ মিয়া বলেন, ১০-১১টি গ্রামের মানুষ, স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের এ পথে চলাচল করতে হয়। ৮-৯ মাস আগে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি। ফলে ওই সেতুতে মানুষের ওঠা কঠিন। সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হলে হাজার হাজার মানুষের চলাচলের পথ সুগম হবে।

রাজ মঙ্গলপুর গ্রামের বাসিন্দা মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মো. মোতালিম বলেন, ব্রিজের কাজ শেষ হয়েছে অনেকদিন আগে। কিন্তু রাস্তাটা করে দেয় নাই। আমি প্রতিদিন এ পথে বাইসাইকেল নিয়ে মাদ্রাসায় যাই। এখানে এসে সাইকেলটা কাঁধে করে ব্রিজে ওঠাই এবং নামাই।

মাঝি গাছা গ্রামের কৃষক মুকভুল হোসেন বলেন, সকাল বিকাল এ পথে কর্মমট বাজারে যেতে হয়। সেতুর দুইপাশে সড়ক না থাকায় ওঠানামা করতে খুব কষ্ট হয়। পা ফসকে পড়ে গেলেই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেতুর দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

সংযোগ সড়কের বিষয়ে কথা বলার জন্য সেতু নির্মাণকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লোকমান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. লোকমান হোসেনের ফোনে কয়েকবার কল দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী জনদুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীকে কয়েকবার বলেছি। তিনিও ঠিকাদারকে চাপ দিচ্ছেন দ্রুত সংযোগ সড়কটি করে দেওয়ার জন্য।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এতদিন সেতুর দুইপাশে পানি জমা ছিলো। সে কারণে ভেকু মেশিন (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে কাজ করা যায়নি। এখন শুষ্ক মৌসুম, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলেছি, সংযোগ সড়কের কাজটি শেষ করার জন্য। আশা করছি, দ্রুত কাজটি হয়ে যাবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ