• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ১১:৩১:৪৬ (11-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ১১:৩১:৪৬ (11-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

ঘিওরে নিখোঁজের ২ দিন পর ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

২৯ নভেম্বর ২০২৩ বিকাল ০৪:৩৩:৫২

ঘিওরে নিখোঁজের ২ দিন পর ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিখোঁজের দুইদিন পর ইমান আলী (৬৫) নামে এক হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৯ নভেম্বর বুধবার সকালে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ইমান আলীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

এর আগে, ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে শিবালয় উপজেলার বোয়ালী এলাকায় গাছের ডালের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ইমান আলী ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের শাইলকাই গ্রামের মৃত হারান শেখের ছেলে। ঘিওর বাজারের পঞ্চরাস্তা মোড় এলাকায় তার হার্ডওয়্যারের দোকান রয়েছে।

নিহতের মেঝ ছেলে মিলন হোসেন জানান, তার বাবা ২৬ নভেম্বর রোববার সকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। কোথাও খুঁজে না পেয়ে ঘিওর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে পুলিশের মাধ্যমে খবর পান তার বাবার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতাল মর্গে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। তার বাবার পড়নের লুঙ্গি, শার্ট ছেড়া ও পায়ে ক্ষত ছিলো। গলায় রশির দাগ রয়েছে।

তার অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর তার বাবার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, যাতে সবাই আত্মহত্যা মনে করেন।

তিনি জানান, তার বড় ভাই কামাল হোসেনের কাছে গ্রামের রিপন প্রধান নামে একজন দেড় লাখ টাকা পেতেন। সুদে আনা ওই টাকার জন্য তার বাবাকে প্রায়ই চাপ দিতো সুদ কারবারি রিপন প্রধান। তাকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন তিনি। গত ৩ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রিপনের কথা বলে অজ্ঞাত তিন যুবক তাকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। পরদিন রাতে দৌলতপুর উপজেলার ধামসর এলাকায় হাত পা বাঁধা অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। এঘটনায় রিপনসহ অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে ঘিওর থানায় মামলা করা হয়। এরপর থেকে আসামিরা নানাভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো তাদের।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ নূর-এ আলম জানান, প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসাবে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে পিবিআই। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর ইসলাম জানান, ইমান আলীর অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়েও থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা তিনি শুনেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অপহরণ মামলার আসামিরা জামিনে আছেন বলেও জানান তিনি।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ