• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৮:০৩:৩৭ (29-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৮:০৩:৩৭ (29-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

এশিয়ান অনুসন্ধান

সমবায় অধিদফতরের গালীবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ তদন্তে দুদক

২৬ জুন ২০২৩ বিকাল ০৩:০১:৫৫

সমবায় অধিদফতরের গালীবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ তদন্তে দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

বিশেষ প্রতিবেদক: আর্থিক সুবিধা নিয়ে সমবায় অধিদফতরে অবৈধভাবে লোকবল নিয়োগসহ নানা উপায়ে অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপ-নিবন্ধক মুহাম্মাদ গালীব খানের বিরুদ্ধে। তার স্ত্রী ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে ট্রেড অপারেশন বিভাগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট তানিয়া সুলতানা রাখির নামেও রয়েছে অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০২২ সালের ১২ অক্টোবর গালীব খান ও তার স্ত্রীর এসব দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ। তাদের নামে প্রায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে করা ওই দু’টি মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। নতুন করে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ আসায় ওই তদন্তের সঙ্গে সংযুক্ত করে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে দুদক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদুকের সহকারী পরিচালক মোছা. ফাহমিদা আক্তার এশিয়ান টিভি অনলাইনকে জানান, সমবায় কর্মকর্তা গালিব ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনীত অভিযোগের অনেকটাই সত্যতা পেয়েছে দুদক। এখনও তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

মামলায় সমবায় অধিদফতরের উপ-নিবন্ধক মুহাম্মাদ গালীব খানের বিরুদ্ধে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ও তার স্ত্রী ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে ট্রেড অপারেশন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট তানিয়া সুলতানা রাখির বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮৩ লাখ ২৫ হাজার ৫২০ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তানিয়া সুলতানা রাখির বক্তব্য ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, তার নামে ফরিদপুরের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২৫৪ শতাংশ জমি, ঢাকার খিলগাঁওয়ে ৩.৫০ কাঠা জমি, বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রকল্পে সাড়ে ৩ কাঠার প্লট এবং ধানমন্ডির ৭নং রোডের অ্যালায়েন্স প্রপার্টিজ লিমিটেড থেকে কেনা একটি ফ্ল্যাটের মালিকানা পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে দালিলিক হিসাবে ১ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। রাখির নামে বিভিন্ন সময়ে চালু করা এফডিআর, পারিবারিক সঞ্চয়পত্র, শেয়ারে বিনিয়োগ, নিজ নামে বিভিন্ন ব্যাংকে চালু করা সেভিংস ও চলতি অ্যাকাউন্টে টাকা জমা, গাড়ি কেনাসহ মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১২ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে ৭ কোটি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৪ কোটি ৪২ লাখ ৬৮ হাজার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া গেলেও ২ কোটি ৮৩ লাখ ২৫ হাজার ৫২০ টাকার সম্পদের স্বপক্ষে কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে গালীব খানের নিজ নামে ঢাকার খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়ায় ১৪১৬ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ও ফরিদপুরে ৬২ শতাংশ জমিসহ ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার ৮০০ টাকায় স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া তার নামে এফডিআর ও সঞ্চয় হিসাবসহ মোট ২ কোটি ৪১ লাখ ৮৮ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ২ কোটি ৭৬ লাখ ৫২ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য পায় দুদক। অনুসন্ধানকালে মুহাম্মাদ গালীব খানের নামে শেয়ার বিনিয়োগ পাওয়া যায় ১ কোটি ২৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। ওই টাকাসহ ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি দুদক। এর মধ্যে ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য গালীব খান ও তার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের করা হলেও তাদেরকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ



মাভাবিপ্রবিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
২৯ এপ্রিল ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৮:৫৩




কুষ্টিয়া থেকে অপহৃত বৃদ্ধ নাটোরে উদ্ধার
২৯ এপ্রিল ২০২৪ বিকাল ০৫:৩৩:০৩



কোনালের ১০ গান কোটির মাইলফলক পেরিয়েছে
২৯ এপ্রিল ২০২৪ দুপুর ০২:১৬:২০