মেহেদী হান্নান চরফ্যাশন (ভোলা) : প্রতি বছর তরমুজ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কৃষকরা। ফেব্রুয়ারি-মার্চে গরমকালে এখানে সুস্বাদু তরমুজ বাজারে পাওয়া যায়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় আগাম তরমুজ চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
দুলারহাট থানা এলাকার কৃষক হারুন পাটওয়ারী বলেন, কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে উপজেলায় সর্বপ্রথম মালচিং পেপার ব্যবহার করে তরমুজ চাষ শুরু করেছি। মালচিং পদ্ধতি কৃষকদের শাক-সবজি উৎপাদনে একটি আধুনিক প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবজি জাতীয় ফসল আবাদ করলে আগাছা হয় না। গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পোকা-মাকড়ের আক্রমণও কম হয়। গাছ সুস্থ-সবল হয়, ফলনও হয় বেশি।
শশিভূষণ থানা এলাকার নয়ন মাল জানান, তিনি ৬৫ শতক জমিতে সিনজেনটার সুগার কুইন জাতের তরমুজের চারা রোপণ করেছেন। রোপণকৃত গাছগুলোতে তরমুজ ধরতে শুরু করেছে। প্রতি ১০ শতক জমিতে তরমুজ চাষে ব্যয় হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। এতে আয় হবে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এ হিসেব অনুযায়ী তিনি ৬৫ শতক জমি থেকে ৪ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা আগাম তরমুজ চাষে ভালো লাভের আশায় রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তরমুজের ছোট ছোট ছাড়া নিয়ে ব্যস্হ সময় পার করছেন তারা।
চরফ্যাশন উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এশিয়ান টিভি অনলাইনকে বলেন, উপজেলার কয়েকজন কৃষক বর্ষাকালেও মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজের চাষ করে থাকে। আবার পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন মাসে তারমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করে। এতে চরফ্যাশন তরমুজের ব্যাপক ফলন হয়। পাশাপাশি লাভও ভালো হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available