কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীর চরে কাটা ধান পলিথিন দিয়ে ঢাকতে গিয়ে বজ্রপাতে জহুরুল ইসলাম নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৩০ এপ্রিল বু্ধবার দুপুর সোয়া ১ টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সু্লতান গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মৃত চয়ন উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদী শুকিয়ে চর জমেছে। সেখানে কৃষক জহুরুল ধান চাষ করেছিলেন। আজ বুধবার সকালে পাকা ধান কেটে রেখে আসছিল। দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে পলিথিন নিয়ে কাটা ধান ঢাকতে গিয়েছিলেন জহুরুল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীর পাড়ে কৃষক জহুরুলের জরাজীর্ণ টিনশেডের ঘর। ঘরের ছোট্ট বারান্দায় রাখা রয়েছে মরদেহ। উৎসুক জনতা শেষবারের মতো এক নজর দেখতে ভিড় করেছেন। স্বজনরা আহাজারিতে ভেঙে পড়েছেন।
এ সময় জহুরুলের ভাতিজা মুন্না শেখ বলেন, একসাথে কাজ করছিলাম। হঠাৎ বিশাল শব্দ করে ডাক ( বজ্রপাত) মারে। আর চাচা এক দিকে আর আমি একদিকে উল্টে পড়ি। পরে ছুটে এসে দেখি কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। শরীরের এক পাশ পুড়ে গেছে।
কলেজে ছাত্র ফিরোজ মাহমুদ বলেন, ১৫ বছর আগে জিয়ারুল নামে আরো এক যুবক ফুটবল খেলতে গিয়ে একই স্থানে বজ্রপাতে মারা গিয়েছিলেন। তার ভাষ্য, আকাশে মেঘ হলে সবাইকে সতর্ক হওয়া উচিত।
এ তথ্য নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে একজন মারা গেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available