• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ দুপুর ১২:৪৯:০৫ (19-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ দুপুর ১২:৪৯:০৫ (19-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

কুড়িগ্রামে ব্যবসায়ীকে কয়েক দফায় পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সকাল ০৯:০৫:১০

কুড়িগ্রামে ব্যবসায়ীকে কয়েক দফায় পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে শরিফুল ইসলাম সোহান (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীকে কয়েক দফায় পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতা বিন্দুর বিরুদ্ধে। সড়কে মোটরসাইকেল চালানোর সময় সাইড দেয়াকে কেন্দ্র করে সোহনকে ডাং পিটা করে হত্যা করা হয়।  

৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের খরিলগঞ্জ বাজার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর ব্যবসায়ীরা কুড়িগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

নিহত সোহান কুড়িগ্রাম পৌর শহরের হাটির পার এলাকার মৃত আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে। তিনি বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে তুচ্ছ ঘটনার জেরে ব্যবসায়ী সোহানকে হত্যাকারী রেজভি কবির চৌধুরী বিন্দু সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

নিহত ব্যবসায়ী সোহানের বন্ধু খন্দকার রেদোয়ান মাহমুদ বলেন, আমরা সোহানসহ তিনজন বন্ধু শহরের অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারে সামনে দাড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎই একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে আমাদের গাড়ির সামনে এসে ছিটকে পরে। তখন আমরা আহত মোটরসাইকেল আরোহী দুজনকে উদ্ধার করে একটি অটোতে করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠাই। পরে আমরা শহরের দিকে আসার সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে এসে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী বিন্দুরসহ তার দলবল আমার জীপ গাড়ির পথ রোধ করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদের উপর হামলা চালায় তারা। তারা বলতে ছিলেন আমরা নাকি মোটরসাইকেলকে সাইড দেই নাই। এ কথা বলে আমার বন্ধু সোহানকে আরও মারতে শুরু করে তারা। এতে গুরুত্ব আহত হয় সোহান।

তিনি আরও বলেন, পরে সোহানকে ছাত্রলীগ নেতা নিজেই আমাদের নামিয়ে দিয়ে গাড়িতে করে তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসাপাতাল নিয়ে আসে। হাসপাতালের সামনে এসেও ছাত্রলীগ নেতা ও তার দলবল আবারও সোহানকে ডাং মাইর শুরু করে। আমরা এসে আহত সোহানকে হাসাপাতালে নিলে চিকিৎকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ব্যক্তিগত কাজে আমি ঢাকায় রয়েছি। ঘটনা জেনেছি। বিন্দুর সাথে একবার কথা হয়েছে। সে নিজের দায় অস্বীকার করেছে।’ ছাত্রলীগ জড়িত থাকার প্রশ্নে সাদ্দাম বলেন, ‘ঘটনায় বিন্দু কিংবা ছাত্রলীগের কোনও নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনানুগ ব্যবস্থাসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। যেই জড়িত হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ