লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরমে ঠাণ্ডা-শীতল এক সবজি শসা। পানি ও ফাইবারে ভরপুর এই সবজিটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে, ডিটক্সেও সাহায্য করে। কিন্তু অনেকেই ভুল করে শসা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পানি পান করেন যা হতে পারে বিপজ্জনক অভ্যাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে হজমের সমস্যা, গ্যাস, এমনকি ডায়রিয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।
শসায় প্রায় ৯৬% পানি থাকে। এর সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত পানি গেলে হজমরস পাতলা হয়ে যায়, ফলে সঠিকভাবে হজমে বিঘ্ন ঘটে।
সম্ভাব্য হজমজনিত সমস্যাগুলো:
১. ফাঁপা ভাব ও গ্যাস
শসা খাওয়ার পর পানি খেলে অনেকেই পেটে গ্যাস, অস্বস্তি ও ভারী লাগা অনুভব করেন। অতিরিক্ত পানি পাকস্থলির অ্যাসিড দুর্বল করে হজমপ্রক্রিয়া মন্থর করে ফেলে। ফলে ‘গাঁজন (ফার্মেন্টেশন)’ বেড়ে যায়।
২. পুষ্টি শোষণে সমস্যা
হজমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পেপসিন ও হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড পানির কারণে দুর্বল হয়ে পড়লে, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো উপাদানগুলোর শোষণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
৩. পেট ব্যথা বা বমিভাব
অনেকেই শসা খাওয়ার পর পানি খেয়ে পেট মোচড়ানো ব্যথা বা বমিভাব অনুভব করেন। পানির অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার দ্রুত গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক দিয়ে নেমে যেতে পারে, যা হজমে বিঘ্ন ঘটায়।
৪. ডায়রিয়া
শসা ও পানি উভয়ই শরীরে ঠাণ্ডা প্রকৃতির এবং বাওয়েল মুভমেন্ট বাড়ায়। একসঙ্গে খেলে অনেক সময় হজমতন্ত্র অতিমাত্রায় উদ্দীপ্ত হয়ে ডায়রিয়ার মতো সমস্যার ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে।
৫. আয়ুর্বেদ অনুযায়ী হজমের আগুন দুর্বল হয়
আয়ুর্বেদ মতে, ঠাণ্ডা প্রকৃতির খাবারের সঙ্গে পানি খাওয়া দেহের পাচনশক্তিকে দুর্বল করে। এতে তৈরি হয় 'আমা' (অপরিপাকিত খাদ্য), যা দীর্ঘমেয়াদে চর্মরোগ, ক্লান্তি ও গ্যাস্ট্রিকের কারণ হতে পারে।
কী করবেন? উপযুক্ত অভ্যাস গড়ে তুলুন:
শসা খাওয়ার পর অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। রুম টেম্পারেচারের পানি পান করুন ঠাণ্ডা পানি হজমে আরও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে নিজের শরীরকে পর্যবেক্ষণ করুন। যদি বারবার এমন সমস্যা হয়, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available