সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদর ইউনিয়নের মোগলটুলা ও চানমনিপাড়া গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে ইউএনও এবং ওসিসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে।
৩০ এপ্রিল বুধবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উভয় পক্ষের লোকজন টস লাইট জ্বালিয়ে দা, বল্লম ও লাঠি সোটা নিয়ে একে অপরকে ইট পাটকেল ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করে। এ সময় ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগেও মোগলটুলা ও চানমনিপাড়ার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এই পূর্ব বিরোধিতায় একে অপরের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে চানমনিপাড়া গ্রামের হেলাল মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম তার ছেলে সাইফুলকে (২০) নিয়ে একটি রাইস মিলে ধান ভাঙ্গাতে যান। এখানে মোঘলটুলা গ্রামের তৌহিদ মিয়া (২০) নামের এক যুবক হালিমা বেগমকে কটূক্তি করেন। হালিমার ছেলে সাইফুল ইসলাম এর প্রতিবাদ করলে এই নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক বিতর্ক ও হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজন রাতের আঁধারে দা, বল্লম ও লাঠি সোটা নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় সংঘর্ষ থামাতে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশারফ হোসাইন ও সরাইল থানার ওসি মো. রফিকুল হাসান ঘটনাস্থলে যান এবং সেখানে দুজনই মারাত্মক আহত হন।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) তপন সরকার বলেন, ইউএনও স্যার ও ওসি সাহেবসহ ৪/৫ জন পুলিশ আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ৩ জনকে আটক করা হয়েছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, ঝগড়ার খবর শুনে থামানোর জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পায়ে আঘাত পেয়েছি। কথায় কথায় সংঘর্ষের সংস্কৃতি থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available