বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীদের এখনো অনেকটা ‘আড়চোখে’ দেখা হয়। সেখানে নারী অগ্রযাত্রার এক অনুপ্রেরণার নাম প্রফেসর ড. ফেরদৌসী খান। সুদীর্ঘ ২৩ বছর দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য কলেজে অধ্যাপনা শেষে পদায়িত হয়ে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন রাজধানীর সরকারি বাঙলা কলেজে। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কলেজের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে নিরলস কাজ করে গেছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মাঝে গড়ে তুলেছেন আন্তরিকতার মেলবন্ধন। ঢাকা মহানগরের শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন দু’বার। পরম মাতৃস্নেহে লালিত সরকারি বাঙলা কলেজকে করেছেন সমৃদ্ধ। বিনিময়ে অর্জন করেছেন হাজারো শিক্ষার্থীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। সাফল্যমণ্ডিত কর্মজীবন শেষে গত ৩ এপ্রিল অবসরে যান তিনি।
ড. ফেরদৌসী খান সাড়ে চার বছরের অধ্যক্ষ ক্যারিয়ারের বিদায়লগ্নে অনুধাবন করলেন, যেমন চেয়েছিলেন প্রায় তেমন জায়গাতেই রেখে যাচ্ছেন সরকারি বাঙলা কলেজকে। অনেকটা দাম্ভিকতার সূরেই তিনি বলেছেন ‘এটা আমার বীরোচিত বিদায়’। কেনই-বা বলবেন না, অস্থিতিশীল এই বাঙলা কলেজে তার নেতৃত্বেই ফিরেছে শিক্ষার মান ও কর্ম-পরিবেশ। ২ এপ্রিল বাঙলা কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ জানালেন তার ব্যক্তি, কর্ম ও শিক্ষকতা-জীবনের আদ্যোপান্ত। এসময় তার সাক্ষাতকার নিয়েছেন সরকারি বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি আফরুজা আভা।
শুরুতে আপনার জন্ম ও কৈশোর সময়ের কথা জানতে চাই।
ড. ফেরদৌসী খান: আমার বাড়ি বরিশালে হলেও জন্ম পাবনাতে। আব্বা সরকারি চাকরি করার সুবাদে আমি ওখানে জন্মগ্রহণ করি। তবে আমার কৈশোর কেটেছে রাজধানী ঢাকাতে। ক্লাস টু’তে থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। বুঝতেই পারছেন, কেমন কেটেছে সেই সময়। স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় আমরা (ফ্যামিলি) রমনা থানা এরিয়ায় ছিলাম। ২৫ মার্চ প্রথমে পিলখানা, রাজারবাগ ও পরে রমনা থানায় রাত ৩টা বাজে আক্রমণ করা হয়। এই সময়ে বাবা ও দুই ভাইকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর প্রায় তিন-চার মাস পর রমনা থেকে আজিমপুর কলনীতে চলে যাই। বিজয়ের সময় আমরা আজিমপুরেই ছিলাম। তখন বেশ আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। এখন যেমন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি হচ্ছে, স্বাধীনতার পর এমনটি ছিল না।
আপনার শিক্ষাজীবন নিয়ে যদি কিছু বলতেন।
ড. ফেরদৌসী খান: পুরান ঢাকার ইস্ট বেঙ্গল স্কুলে পড়েছি, তেজগাঁও পলিটেকনিক, সিদ্ধেশ্বরী স্কুলেও পড়েছি। বাবার চাকরি সূত্রে যখন যেখানে বদলি হতো, সেখানের আশপাশে কোনও স্কুলে ভর্তি হতাম। এখানে মজার বিষয় হলো, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আমি ৯টি স্কুলে পড়ি। ধানমন্ডি গভ. গার্লস হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক, ইডেন থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছি। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স কমপ্লিট করে পিএইচডি করেছি।
বাবা বলেছিলেন, এই মেয়েকে অনার্স পাস না করে বিয়ে দেব না। আমার অনার্স ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারের রেজাল্ট খুব একটা ভালো ছিল না। পরে দ্বিতীয় বর্ষে থাকতেই হঠাৎ করে আমার বিয়ে হয়ে যায়। অনেকেই বলতো, বিয়ে হলে আর পড়াশোনা হয় না। কিন্তু আমি আমার উচ্চশিক্ষা বিয়ের পরেই সম্পন্ন করেছি।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখনও নারীদের ভিন্ন চোখে দেখা হয়। সেখানে আপনার এ দীর্ঘ সাফল্যের পথচলা কেমন ছিল?
ড. ফেরদৌসী খান: বেগম রোকেয়ার মত আমারও বিয়ের পরবর্তী জীবনে স্বামীর অবদান ছিল অনেক। সে কিন্তু আমাকে বলেছিল, ‘তুমি নিজের পরিচয়ে পরিচিত হও; মিসেস অমুক হবা কেন? স্বপ্ন পূরণ করো, আমি তোমাকে সহযোগিতা করবো’। যেখানে আমার ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারে ৪৫ পার্সেন্ট নম্বরও ছিল না, সেখানে বিয়ের পর কিন্তু আমি অনার্সে নবম হয়েছিলাম। মাস্টার্স পরীক্ষার সময় আমি প্রেগন্যান্ট ছিলাম। তখন বললাম, পরীক্ষা দেব না। সে বলল, ‘না তুমি মাস্টার্স পরীক্ষা দাও, ফেল করলেও’। এরপর পিএইচডি করার ক্ষেত্রেও কিন্তু আমার স্বামীর অনেক অনুপ্রেরণা ছিল।
শিক্ষকতা পেশা কেন বেছে নিয়েছিলেন, কার অনুপ্রেরণা ছিল?
ড. ফেরদৌসী খান: বেগম রোকেয়াকে দেখতাম শাড়ি পরে একটা বই হাতে নিয়ে যেত। এটা আমার খুব ভালো লাগতো, অনুপ্রেরণা পেতাম। তাই বাবা পুলিশ অফিসার হলেও সে পেশায় কোনও টান ছিল না। শৈশব থেকেই শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিল। শিক্ষক হিসেবে আমি কিন্তু সফল ছিলাম। আমি যখন এই কলেজে দায়িত্ব নেই, তখন আমার মেয়েকে বলেছি এই কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে অস্থিরতা। তখন আমি এই কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম। সন্তানদের বলতাম, এই কলেজে অনেক সময় দিতে হবে। তোমরা নিজেরা পড়াশোনা চালিয়ে যেও। আমার এই সিদ্ধান্তকে তারা সমর্থন দিয়েছে। আমার মেয়ে যখন ‘ও লেভেল’ পরীক্ষা দিয়েছে, সেই সময়ে আমি সন্তানের পাশে থাকতে পারিনি। সন্তানের পরীক্ষার সময় মাকে পাশে থাকতে হয়। কিন্তু এ দায়িত্ব পালন করতে পারিনি। কলেজে অনেক সময় ব্যয় করেছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা অফিস করেছি। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও আমি কাজ শেষ করে বাসায় ফিরেছি। আল্লাহর রহমতে আমি সফল। আমার মেয়েও ‘ও লেভেল’ পরীক্ষায় ভালো করেছে। শিক্ষকতা শেষে অধ্যক্ষ হিসেবে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছি। আমার বাবা বলেছিলেন, তুমি এডমিনিস্ট্রেশনে যাও, সেখানে ভালো করবে। যদিও সরাসরি এডমিনিস্ট্রেশনে যাইনি, কিন্তু অধ্যক্ষ হিসেবে কিন্তু প্রশাসনের কাজই করেছি। আজ অধ্যক্ষ জীবনের শেষে এসে এত প্রশংসা আর এমন বীরোচিত বিদায়ের সময় বিশেষত বাবার এই কথাটা আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছে।
কলেজের বধ্যভূমি নিয়ে আপনার লেখা বই প্রকাশিত হলো, এটার পেছনের ঘটনা যদি বলতেন।
ড. ফেরদৌসী খান: বধ্যভূমি উদ্ধার করতে গিয়ে অনেক কাগজপত্র পেলাম। তখন কলেজের শিক্ষার্থীরা ছিল সাগর (ডিয়ার) ও জহিরসহ আরও অনেকেই। অনেক কষ্ট করে তথ্য সংগ্রহ করেছি। তখন নিজ থেকে অনুধাবন করে বধ্যভূমির কাগজপত্র যেগুলো সংগ্রহ করলাম তার ওপরে একটি বই প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেই। এই বইটি একটি থিসিস হবে ও গবেষণার জন্য কাজে আসবে বলেই আমার ধারণা ছিল। বর্তমানে বধ্যভূমি বইটি একটি ডকুমেন্ট হয়ে থাকলো। এই বই প্রকাশে রোটন আমাকে সাহায্য করেছে।
কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান অতিথি করে এনেছিলাম। বইটি ওনাকে উপহার দিয়েছিলাম। বইটি পড়ে উনি বধ্যভূমি সংরক্ষণ এবং সংস্কারে একটি প্রকল্প করেছেন। এরই মধ্যে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনটি বধ্যভূমি করতে পেরেছি, আরও ৬টি বাকি রয়েছে। আমি অবসরে চলে গেলেও এই কাজগুলো থেমে থাকবে না। আমি স্বপ্ন দেখতাম এই কলেজে একটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হবে। সেটা যে আমার হাত দিয়েই পরিপূর্ণতার পাবে, এটা ভাবতে পারেনি।
কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আবাসন সমস্যা সমাধানে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
ড. ফেরদৌসী খান: তোমরা বার বার বলতে কলেজে ছাত্রী হোস্টেল নেই , ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণের জন্য। বিদায়বেলা বলতে চাই, কলেজের একটি ১০ তালা ছাত্রী ও আরেকটি ১০ তলা ছাত্র হোস্টেল নির্মাণের জন্য একনেকে একটি প্রকল্প পাঠিয়েছি। এ ছাড়াও, প্রিন্সিপাল কোয়ার্টার ও টিচার্স কোয়ার্টার, টিচার্স ডর্মেন্টরি, জিমনেশিয়াম, ক্যান্টিন, অডিটোরিয়াম, খালের চার পাশ দিয়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং ওই সাড়ে চার একর জমি ভরাটের জন্য একনেকে পাঠানো হয়েছে। এই প্রকল্পগুলো খুব দ্রুতই পাসের দিকে যাবে।
আপনি দীর্ঘদিন অফিসার্স ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়েছেন। এ বিষয়ে যদি বলতেন।
ড. ফেরদৌসী খান: আমার বাবা সংগঠনপ্রিয় মানুষ ছিল। পুলিশদের একটা সংগঠন আছে। সেই সংগঠনের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিল আমার বাবা। এ ছাড়াও, আমার ভাইদের মধ্যেও লিডারশীপ দেখে বড় হয়েছি। আমার মধ্যেও যে লিডারশীপ ছিল, এটা জানতাম না। আমি ২০০৩ সালে অফিসার্স ক্লাবে মেম্বার হয়েছি। মেম্বার হওয়ার আট মাসের মাথায় নির্বাচন করেছি। অনেকেই বলেছেন, পাঁচ বছর মেম্বারশীপ, তবুও নির্বাচন করার সাহস পাইনি। আপনি এত কম সময়ের মধ্যে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন স্যারদের বলতাম, আমার সাহস আছে। তাই পেরেছি নির্বাচন করতে। প্রথম নির্বাচন করেই আমি জয় পেয়েছি। তারপর অনেককেই বলতে শুনেছি, আমার কাছ থেকে তাদের অনেক শেখার আছে। আমি চার বার নির্বাহী কমিটির সদস্য ও তিন বার জয়েন্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছি। এ ছাড়াও, রোটারি ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট, মেয়েদের ইমারুল ক্লাব এবং উত্তরা লেডিস ক্লাবের মেম্বারসহ আরও নানা সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়েছি।
জনশ্রুতি আছে আপনি নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ভালো নেতৃত্ব তৈরি করেছেন, শিক্ষকতা জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা কী?
ড. ফেরদৌসী খান: অভিজ্ঞতা অনেক সুন্দর। শিক্ষার্থীদের ভালোবাসলে, ওরাও বাসে। শাসন করার সময় শাসন করি। আমার নিজের ছেলে নেই, ছাত্ররাই আমার ছেলে। শিক্ষার্থীদের উন্নতিতে কাজ করে গেছি। কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকে আগের তুলনায় ফলাফল ভালো করছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের কাছে বাঙলা কলেজ দ্বিতীয় পছন্দ হয়ে উঠেছে। শিক্ষকদের মাঝেও আমি নেতৃত্ব তৈরি করে দিয়েছি। রাজা যায় রাজা আসে, দেশও চলে। আশা করছি, বাঙলা কলেজে এ ধারা সামনেও অব্যাহত থাকবে। এই সময়ে আমার কোনও চাওয়া-পাওয়া নেই। তবে আমাকে যেভাবে কলেজের শিক্ষার্থী, সংগঠন, শিক্ষক ও কর্মচারীরা বিদায় দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। এটা আমার বীরোচিত বিদায়।
আপনি বলছিলেন, এই কলেজ চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু এই সাড়ে চার বছরে আপনার সাফল্যের পাল্লা ভারী। সাফল্যের পেছনেও নিশ্চয়ই সীমাবদ্ধতা ছিল, এটাকে কীভাবে দেখছেন?
ড. ফেরদৌসী খান: কাজ করতে গেলে সীমাবদ্ধতা আসবেই। তার মধ্যে আমি একজন মেয়ে। আমি কখনোই লিঙ্গ বৈষম্যে বিশ্বাস করিনি। করোনাকালে নিজের জীবনের শঙ্কা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দখল হয়ে থাকা কলেজের জমি দখলমুক্ত করে বাউন্ডারি দিয়েছি। সাহস থাকলে সকল সীমাবদ্ধতাকে জয় করা যায়। আমি যা করেছি সাহস নিয়েই করেছি। আমার মধ্যে সব সময় তারুণ্য ছিল।
কলেজের সহশিক্ষা সংগঠনগুলো নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
ড. ফেরদৌসী খান: বেশ কিছু কো-কারিকুলাম এক্টিভিটি কলেজে চলমান আছে । ডিবেটিং সোসাইটি, সাংবাদিক সমিতি, বিজ্ঞান ক্লাব, যুব থিয়েটারসহ অন্যান্য সংগঠনের ছেলে-মেয়েরা ভালো করছে। বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতির হাত ধরেই সাত কলেজে ‘ নিউজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা ক্রিয়েটিভ দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তোমরা কলেজের ভালো কাজগুলোকে তুলে ধরবে। সমালোচনা একটি সাহিত্য, আর সেটিই তোমরা করো। সমালোচনা না থাকলে আত্মশুদ্ধি ঘটে না।
আপনার সাফল্যমণ্ডিত এই কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কী পরামর্শ থাকবে?
ড. ফেরদৌসী খান: শুধুমাত্র অধ্যক্ষ জীবনের অবসর ঘটছে, শিক্ষক জীবনের অবসর ঘটছে না। আমি যেখানে যাবো, সেখানেই পড়াবো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমার বাবার আদর্শ ছিল। আমার আদর্শ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রযুক্তির যুগে সবাই রোবট হয়ে যাচ্ছে, তাই সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান, তোমরা মানবিক মানুষ হও।
অবসর-পরবর্তী পরিকল্পনা কী?
ড. ফেরদৌসী খান: আমার দুই মেয়ে দেশের বাইরে থাকে। কিন্তু আমার কখনো দেশের বাইরে ভালো লাগেনি। আমি দেশেই থেকে যাব। আমার একটা জমি আছে সাভারে। ওখানে একটা ফাউন্ডেশন করবো। তোমাদেরই অফিসিয়ালি বলছি। কলিগরা ভাঙা ভাঙা জানে। ওখানে ছোট এক মাদ্রাসা করবো। আর একটা ওল্ড হোম। বৃদ্ধরা বাচ্চাদের দেখবে, বাচ্চারাও তাদের সঙ্গে খেলবে। একটা প্রাকৃতিক পরিবেশের মতো।
ম্যাম সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ড. ফেরদৌসী খান: তোমাকেও ধন্যবাদ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available