• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১২ই আষাঢ় ১৪৩২ বিকাল ০৩:০৫:৫০ (26-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১২ই আষাঢ় ১৪৩২ বিকাল ০৩:০৫:৫০ (26-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:

হাঁচি আটকে দিলে হতে পারে বড় সমস্যা, এমনকি মৃত্যুও

লাইফস্টাইল ডেস্ক: মানুষের শরীরে পরিবেশে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানের কারণে হওয়া সংক্রমণের হাত থেকে আমাদের শরীরকে বাঁচাতে প্রাকৃতিকভাবেই হাঁচি হয়। একথা বলতেই হয় যে, হাঁচি শরীরের পক্ষে খুব ভাল। কিন্তু নাক সুরসুরিয়ে হাঁচি আসলে আমরা অনেকে আটকানোর চেষ্টা করি। এটা জেনে রাখুন, হাঁচি আপনাকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হাঁচি আটকালে অনেক ক্ষতিও হতে পারে মানব শরীরে।বিজ্ঞান বলছে, মানুষের হাঁচির সময় প্রায় ১০০-১৬০ কিলোমিটার/প্রতি ঘণ্টা গতিতে বায়ু নাকের ছিদ্র দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। তাই সে সময় যদি এই বায়ু প্রবাহকে জোর করে আটকানো হয়, তাহলে তা সম গতিতে শরীরের ভিতরে চলে যায় এবং একাধিক অঙ্গের ক্ষতি সাধন করে।উদাহরণ হিসেবে মেডিকেল সায়েন্স বলছে, হাঁচি আটকানোর এই প্রভাব যদি কানে পরে তাহলে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। ফলে কালা হয়ে যাওয়ার অশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এখানেই শেষ নয়, হাঁচি আটকালে শরীর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে শুরু করে। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।এমনকি যদ হাঁচি আসার সময় তা আটকানো হয় তাহলে আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শুধু তাই নয়, আমাদের শরীরের একাধিক অঙ্গ এই কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। দেখা গেছে একবার হাঁচি আটকালে যে গতীতে বায়ু বাইরে বেরতে চাইছে, তা শরীরে ভিতরে চলে গিয়ে কান, মস্তিষ্ক, ঘার, ডায়াফরাম প্রভৃতি অংশে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে।ট্রেনের যে গতিবেগ, সেই সমান স্পিডে বায়ু প্রবাহ যখন চোখ এসে ধাক্কা মারে তখন একাধিক নার্ভ ড্যামেজ হয়ে যায়। এই কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া এবং অন্ধত্বেরও আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর যদি ঘারে এর প্রভাব পরে তাহলে মারাত্মক নেক ইনজুরি হতে পার।বিজ্ঞানের একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই গতি বেগে বায়ু প্রবাহ মস্তিষ্কের একাধিক নার্ভে গিয়ে আঁছড়ে পড়লে অনের ক্ষেত্রেই স্টোক এবং সেই কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই বাঁচতে চাইলে এবার থেকে হাঁচি এলে আর আটকাবেন না।