• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বিকাল ০৫:০১:৩২ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বিকাল ০৫:০১:৩২ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

ফরিদপুরে নকল স্যালাইন কারখানা সিলগালা, জরিমানা ২ লাখ

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর সদরের কানাইপুরে নকল ওর স্যালাইন তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় কারখানা ও গোডাউন সিলগালা করে দেন। পাশাপাশি নকল পণ্য উৎপাদন করায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।১৪ মে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এনএসআইয়ের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে কানাইপুরে রুপা ফুড প্রোডাক্টস নামে খাদ্যপণ্য তৈরি প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান পরিচালনা করেন। ওই কারখানায় একই সাথে বিভিন্ন নামি দামি ব্র্যান্ডের শিশু খাদ্যের মোড়কের সাদৃশ্য মোড়কে তৈরি হচ্ছিল নানা ধরনের শিশু খাদ্য।সরেজমিনে কারখানা ও গোডাউনে গিয়ে দেখা যায়, দেখতে হুবুহু এসএমসি ওরস্যালাইনের মত নকল ওরস্যালাইন এবং ইউনিভার্সেল টেস্টি স্যালাইনের হুবুহু নকল টেস্টি স্যালাইন বানানো হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে কোন ভাবেই বুঝার উপায় নেই পণ্যটি নকল পণ্য, শুধুমাত্র মোড়কে নিচে ছোট করে রুপা ফুড প্রডাক্টস লেখা ছাড়া বাকি সবই আসল পণ্যের মত।গোয়েন্দা সংস্থার এনএসআই’র সূত্র জানায়, বেশ কয়েকদিন আগে তারা ফরিদপুর শহরতলীর কানাইপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের জাফর মোল্যার মালিকানাধীন রুপা ফুড প্রডাক্টস নামের এই প্রতিষ্ঠানটির খোঁজ পান। যেখানে নকল স্যালাইন বানানো হয়। খোঁজ পাওয়ার পরে ছদ্মবেশে সরেজমিনে তদন্তে নামে এনএসআই। তদন্তে নেমে নকল স্যালাইন বানানোর বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেলে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয় ওই কারখানায়।ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম শাহাদাৎ হোসেন নকল স্যালাইনের একটি প্যাকেট দেখিয়ে বলেন, দেখেন আসল এসএমসি ওরস্যালাইনের সাথে কোন পার্থক্য নেই এর। স্যালাইন কোন খাবার না, এইটা একটা ঔষধ। স্যালাইন বানাতে গেলে যে ধরনের অনুমতি লাগে তা নেই এই কারখানা মালিকের। একই সাথে অদক্ষ কর্মী দিয়ে করা হচ্ছিল স্যালাইনের প্যাকেজিং। এছাড়াও হুবহু মোড়ক নকল করাও অপরাধ। স্যালাইন ও খাদ্যপণ্য মজুদ করার যে প্রক্রিয়া সেটাও মানা হয়নি এখানে। এ সকল অপরাধে কারখানা মালিক জাফর মোল্যাকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে কারখানা ও গোডাউন সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তার কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে কারখানা ও গোডাউনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র আরো জানায়, এই একই কারখানায় নামি দামি ব্র্যান্ডের চিপস, চানাচুর, বুট, মটর ভাজার মোড়কের আদলে মোড়ক বানিয়ে বানানো হচ্ছে নিম্মমানের পণ্য। এসব পণ্য শহরতলী ও দুর্গম চরাঞ্চলে বিক্রি করা হচ্ছিল। যা সাধারণ ক্রেতারা নামি ব্র্যান্ডের পণ্য মনে করেই ক্রয় করে আসছিল।জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর বজলুর রশীদ জানান, স্যালাইনসহ খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ করার যে নিয়ম তাও মানা হয়নি এখানে। এভাবে রাখা হলে সঠিক মানও নষ্ট হতে পারে। এদের স্যালাইন তৈরির কোন বৈধ পেপারস নেই।অবশ্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তার বৈধ কাগজপত্র আছে বলে দাবি করেন অভিযুক্ত কারখানা মালিক জাফর মোল্যা। এলাকাবাসী তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।