• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ০২:৩৬:৫৯ (21-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ০২:৩৬:৫৯ (21-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

পানিতে ভাসছে সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চল

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: পানিতে ভাসছে সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চল। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। সংযুক্ত নদী-খালে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টির কারনে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার নদী ও খালগুলো খনন করা হলে জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ী মুক্তি সম্ভব। তবে এই মুহূর্তে সবার আগে প্রয়োজন পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টিকারী বাঁধ ও নেটপাটা অপসারণ করা।তালা সদরের মাঝিয়াড়া ও খড়েরডাঙ্গা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এ জনপদের পানি খড়েরডাঙ্গা থেকে কপোতাক্ষ নদ অভিমুখী সংযোগ খাল দিয়ে নিষ্কাশিত হয়। তবে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা থাকায় খাল দিয়ে নিষ্কাশন হচ্ছে না। মাঝিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ খালিদ হাসান জানান, জনপদের পানি খাল দিয়ে অপসারণ হওয়ার কথা থাকলেও খড়েরডাঙ্গা বিলে থাকা মাছের ঘেরের ভেঁড়িবাঁধ পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করছে। পানি খালে গিয়ে না পড়ে আটকে থাকায় পানিতে ভাসছে হাজারো মানুষ। একটি অংশের পুরো রাস্তা-ঘাট, ঘরবাড়ি পানিবন্দি অবস্থায় আছে।অন্যদিকে সাতক্ষীরা সদর, আশাশুনি ও তালা উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে রাস্তায় জমে আচে পানি, কারও আবার ঘরের মধ্যেও পানি ঢুকে পড়েছে। আশাশুনি উপজেলার বুধহাটার দাশপাড়ায় ৩ মাস ধরে পানিবন্দি আছে ৩৫০ পরিবার।বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক বলেন, পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করেও সুফল মিলছে না। শ্যালোমেশিন লাগিয়ে পানি কমানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু বৃষ্টি এলে আবারও ডুবে যাচ্ছে। পাশে বেতনা নদীর খনন কাজ চলছে; ফলে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হচ্ছে না।আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী জানান, উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের মানুষই কমবেশি পানিবন্দি। খালে নেটপাটা দিয়ে পানি নিষ্কাশন পথে বাধা সৃষ্টি করেছে এক শ্রেণির ঘের ব্যবসায়ী। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা একটি বড় সমস্যা। জলাবদ্ধতা দূর করতে নদী ও খাল খনন প্রকল্প চলমান রয়েছে। খনন কাজ শেষ হওয়ার পর জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে সাতক্ষীরার মানুষ। তবে খালে অবৈধ নেটপাটা দিয়ে অনেকে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে, সেগুলো উচ্ছেদে অভিযান চলছে। মাছের ঘেরের বেড়িবাঁধ ও কিছু কিছু এলাকায় পানি প্রবাহে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই নেটপাটাগুলে, ফলে লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। সে বাধাগুলো দূর করে জনপদ থেকে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।