সুসময়ে স্বৈরাচারের অনেকেই কাছে আসতে চাইবে সাবধান: মোস্তফা জামান
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন, এ সময় আমি ও আমার দলের প্রতিটি নেতা কর্মী কঠিন দুঃসময় পার করেছি। কেউ কারাগারে কেউ রাজপথে। দিনের পর দিন পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারিনি। পরিবারের সবাই ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটানোর দিন গুলো এখনও চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এখন দলের সুসময়। আর এই সুসময় অনেকেই আপনাদের কাছে আসতে চাইবে। কিন্তু আপনারা সাবধান হয়ে যান। সুসময়ের পাখি বেশিদিন থাকে না।২৫ জুন বুধবার সকাল ১১টায় আদাবর ১২ নম্বর রোড শেকের ট্রেক বিএনপি'র সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক।তিনি বলেন, দুঃসময়ের যারা মাঠে-ঘাটে কাজ করেছেন আমরা তাদেরকে চিনি। তাড়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক, তাদেরকে আমরা পুরস্কৃত করব। কিন্তু যারা সুসময়ের পাখিদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন তাদের কে মনে করিয়ে দিয়ে বলতে চাই। আপনারা সাবধান হয়ে যান। দুঃসময় কাটিয়ে সু সময় লোকদেরকে সুযোগ করে দিলে আপনারাই পিছিয়ে পড়বেন। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দল। তাই যারা দুঃসময় দলের জন্য কাজ করেছে তাদেরকে মূল্যায়ন করুন।তিনি আরও বলেন, দলের ভেতরে ভেদাভেদ করে দলকে বিভক্ত করার চেষ্টা করবেন না। এতে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে দল ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আমরা এই নবায়ন ফ্রম যার তার হাতে তুলে দেব না। দলের ভেতরের অনেকের নামে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আশা করি আপনারা সেখান থেকে বের হয়ে আসবেন। কেউ যদি কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকেন সেখান থেকেও বের হয়ে আসবেন। আর অযথাই কেউ কারো নামে বদনাম বা অভিযোগ দাখিল করবেন না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশ মেনে চলুন। দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার কাজ করুন।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহানগর উত্তর এর যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন প্রমুখ।