• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ভোর ০৪:০১:০২ (21-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ভোর ০৪:০১:০২ (21-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ অফিসে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সংঘর্ষ ও আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলার খবর পাওয়া গেছে। হামলায় ভেদরগঞ্জ পৌরসভা বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,সজীব ওয়াজেদ জয়, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করা হয়।এ সময় এম এ রেজা কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক সুজন মুন্সি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোরসালিন হাওলাদার ওপর হামলারও অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগ উঠেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার লক্ষে প্রান্ত মাদবর এ হামলা চালিয়েছেন।৮ জানুয়ারি সোমবার দুপুর ২টার দিকে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মো. মাহাবুবুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।এর আগে, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভেদরগঞ্জ পৌরসভা বাজারে আওয়ামী লীগ অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।জানা যায়, এম এ রেজা কলেজ শাখার নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিবার্চন নিয়ে আলোচনা করার সময় ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত মাদবরের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন লোক এসে হঠাৎ করে দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে। এত এম এ রেজা কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক সুজন মুন্সি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোরসালিন হাওলাদার আহত হন। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ৩ জন আহত হয়েছেন।এ সময় হামলাকারীরা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, সজীব ওয়াজেদ জয় ও বর্তমান সংসদ সদস্যের ছবি ভাংচুর করে। পরে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে নৌকা জয়ী হওয়ার পর আনন্দ উল্লাস করেন সুজন ও মোরসালিনের লোকজন। আনন্দ মিছিল শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কর্মীদের নিয়ে তারা ভেদরগঞ্জ পৌরসভা বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আসেন। এ সময় প্রান্ত মাদবরের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন লোক এসে হঠাৎ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে।এ সময় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও কার্যালয়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করা হয়। এছাড়া সুজনকে লক্ষ করে গুলি করার চেষ্টা করলে মাথায় আঘাত লাগে। স্থানীয় নেতা কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন।আহত সুজন মুন্সি বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে অফিসে নিবার্চন নিয়ে আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ করে তারা আমাদের অফিসে হামলা চালায় এবং বঙ্গবন্ধুর ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে। বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে লক্ষ করে গুলি করার চেষ্টা করলে আমি তাদের হাতে থাকা পিস্তল ধরে ফেললে প্রান্ত পিস্তল দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে।এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি একটি নেক্কারজনক ঘটনা।  দ্রুত তদন্ত করে আপরাধীদের বিচার দাবি করছি।ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন হিরু বলেন, এটি নেক্কারজনক ঘটনা। আমি এই জঘন্য কাজ মেনে নেব না। আমি থানা পুলিশকে বলেছি দ্রুত তদন্ত করে আপরাধীদের আটকের জন্য।ভেদরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ কার্যালয় হামলাও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার মো মাহবুবুল আলম বলেন, পুলিশ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছে। বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। অপরাধীদের ধরতে তদন্ত চলছে।