• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৯:১৬:২৩ (09-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৯:১৬:২৩ (09-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

পাহাড়ে বর্ণিল আয়োজনে বৈসাবী উৎসব শুরু

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটিতে নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে আজ ১২ এপ্রিল শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে পাহাড়ে ৩ দিনের বৈসাবী উৎসব। আর এই চৈত্র সংক্রান্তিতে পাহাড়ের অধিবাসীরা মেতেছে উৎসবের আমেজে। পার্বত্য জনপদের পাড়ায় পাড়ায় পড়েছে সাজ সাজ রব। এপ্রিলের শুরু থেকেই বৈসাবীকে ঘিরে পাহাড়ে চলছে বর্ণিল আয়োজন।স্থানীয়রা বলছে, পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর প্রধান ধর্মীয় উৎসব বৈসাবীকে কেন্দ্র করে তিনদিন উৎসব করার কথা থাকলেও এ উৎসব  চলে পক্ষকাল ব্যাপী। পাহাড়িদের  সংস্কৃতি মেলা, ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা, নদীতে ফুল ভাসানো, বুদ্ধমূর্তি গোসল, বয়স্ক মুরব্বীদের স্নান আর পানি খেলার মধ্যে দিয়ে চলবে এ উৎসব।এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, চৈত্র সংক্রান্তির দিনকে বলা হয় মুল বিজু। ঘরে ঘরে রান্না হয় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাচন। তা দিয়ে দিন ভর চলে অতিথি আপ্যায়ন।রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী জানান, একদিকে বাংলা বর্ষবরণ অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র  ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রধান ধর্মীয় উৎসব বৈসাবী এ দুটো মিলে পাহাড়ে বাঙ্গালী ও পাহাড়ীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। উৎসবের আমেজ নিয়ে সারা বছর পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধরে রাখার আহবান সুধীজনদের।বাংলা বর্ষবরণ ও বৈসাবীর পক্ষকালব্যাপী পাহাড়ের এ দীর্ঘ আনন্দ আয়োজন সফল করতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে  নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।উৎসবের শেষ দিনে ১৬ এপ্রিল  মারমা সম্প্রদায় উদযাপন করে ঐতিহ্যবাহী পানি খেলা উৎসব। এ উৎসব সপ্তাহ জুড়ে চলে মামো পল্লিগুলোতে । এর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে পাহাড়ের এই বৈসাবী আয়োজন।উল্লেখ্য, চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিনকে বলা হয় ফুল বিজু। উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা বন থেকে ফুল আর নিমপাতা সংগ্রহ করে সেই ফুল দিয়ে ঘর সাজায়।