• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ দুপুর ০২:২৮:২১ (18-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ দুপুর ০২:২৮:২১ (18-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

এশিয়ান টিভি অনলাইনে সংবাদ প্রচার: সচল হলো রংপুর বেতারের অচল মেশিন

রংপুর ব্যুরো: বাংলাদেশ বেতার রংপুর আঞ্চলিক প্রেরণ কেন্দ্রের আঞ্চলিক প্রকৌশলী আবু সালেহ অবৈধভাবে গাছ কেটে আত্মসাতের চেষ্টা ও অচল মেশিন সচল দেখিয়ে বিল ভাউচার বানিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেন। এমন অভিযোগসহ নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ এশিয়ান টেলিভিশন অনলাইনে প্রকাশিত হলে জেলাজুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।প্রকাশিত এসব সংবাদ দৃষ্টিগোচর হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। ওই সংবাদের সূত্র ধরে প্রকাশ্য গোপনে বিষয়গুলো তদন্ত করে সত্যতাও খুঁজে পান। এরই ফাঁকে তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশ বেতার রংপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রের পুরোনো অচল জেনারেটরগুলো তড়িঘড়ি করে মেরামত করে সচল করার চেষ্টা করছেন আঞ্চলিক প্রকৌশলী (আ-ই) আবু সালেহ।এ বিষয়ে বাংলাদেশ বেতার রংপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রের আঞ্চলিক প্রকৌশলী (আর ই) আবু সালেহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।জেনারেটর মেরামতকারী মোহাম্মদ মোমিন ও বকুল মিয়া জানান, রংপুর বেতারের আঞ্চলিক প্রেরণ কেন্দ্রের জেনারেটর দীর্ঘ দিন থেকে অচল ছিল কয়েকদিন আগে জেনারেটরগুলোকে মেরামত করার জন্য আমাদেরকে ডাকা হয়। আমরা এসে একটি জেনারেটর সচল করতে পেরেছি বাকি আরেকটি জেনারেটর সচল করা সম্ভব হয়নি। তবে জেনারেটরগুলো দীর্ঘ দিন থেকে অচল ছিল বলে তারা জানান।তবে সহকারী প্রকৌশলী মিজান খান জানান, রংপুর বেতার আঞ্চলিক কেন্দ্রের তিনটি জেনারেটর কখনো সচল ছিল না। কেউ যদি বলে থাকে তিনটি জেনারেটর সচল ছিল তিনি মিথ্যা বলেছেন।তিনি আরও বলেন, আমরা ছোট কর্মচারী স্যারদের নির্দেশনা মেনে আমাদের কাজ করতে হয়। রংপুর বেতারের আঞ্চলিক প্রেরণ কেন্দ্রের তিনটি জেনারেটর রয়েছে। এরমধ্যে একটি জেনারেটর দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে। একটি জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ গেলে কোন রকম করে চালিয়ে প্রোগ্রাম সম্প্রচার করা হয়। আরেকটি জেনারেটর মেরামত করার জন্য কয়েক দফা চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। কিন্তু কয়েকদিন আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জেনারেটরসহ নানান অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত হলে রংপুর বেতারের আঞ্চলিক প্রকৌশলী সারের নির্দেশে তড়িঘড়ি করে একটি জেনারেটর মেরামত করা হয়েছে। আরেকটি জেনারেটর কবে ঠিক হবে এটা কেউ বলতে পারে না।তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিকরা আমার মতো কর্মচারীদের নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে যে সকল বড় বড় কর্মকর্তারা দীর্ঘ ৬ বছর ও ১১ বছর ধরে একই কর্মসংস্থানে থেকে নানান ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি করছেন তাদের বিরুদ্ধে বেশি বেশি করে সংবাদ প্রকাশ করেন। যেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।বাংলাদেশ বেতার রংপুরের আঞ্চলিক প্রেরণ কেন্দ্রের একটি সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগে রংপুর বেতারের আঞ্চলিক প্রেরণ কেন্দ্রের টাওয়ারে একজন উঠেছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে ওই লোকটিকে নামায়। ওই সময় বড় ধরনের একটি দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু এমন ঘটনার পরেও এখন পর্যন্ত আঞ্চলিক প্রকৌশলী কেপিআই এলাকায় ভুক্ত অঞ্চলটির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদাসীন।এ বিষয়ে কে পি আই এলাকার সভাপতি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (হেড কোয়ার্টার) এসপি অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আবুবকর ছিদ্দিক বাহিরে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, কেপিয়াই এলাকাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এখানে কোন কিছু ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। কোন রকমের অনিয়ম করার কেউ চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কেপিআই ভুক্ত এলাকায়, আমরা কেউ রাত্রি যাপন করি না। যখন ডিউটি পড়ে সময়মতো ডিউটি পালন করি। কিন্তু মিল্টন খন্দকার নামে এক সহকারী ইঞ্জিনিয়ার তিনি বগুড়া থেকে এসে সেখানে অবস্থান করে রান্না বান্না করে খেয়ে সেখানেই রাত্রি যাপন করেন। তিনি সেখানে রাইস কুকারের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক মিটার দিয়ে রান্না বান্না করে থাকেন। একদিন সেখানে দুর্ঘটনাও ঘটেছিল। তারপরেও তিনি সেখানে অবস্থান করেন। সেখানে থাকার কোন নিয়ম নেই বলে তারা জানান।তবে এ বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী মিলটন খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি বগুড়া থেকে এসে  ডিউটি করি। ডিউটি পালন শেষে আবার বগুড়া ফিরে আসি। ডিউটি করার ফাঁকে ওখানে আমি কেন যারা ডিউটি করে সবাই থাকেন এবং রান্না বান্না করে খায়।উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেতার রংপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রের সরকারি গাছ কেটে আত্মসাতের অভিযোগ ও অচল মেশিন সচল দেখিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার বানিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কয়েকটি সংবাদ এশিয়ান টেলিভিশনের অনলাইনে প্রকাশিত হয়। ওই খবর প্রকাশিত হলে বাংলাদেশ বেতারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত নামেন।