• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২০শে আষাঢ় ১৪৩২ সকাল ০৮:২৩:০৯ (04-Jul-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২০শে আষাঢ় ১৪৩২ সকাল ০৮:২৩:০৯ (04-Jul-2025)
  • - ৩৩° সে:

নারায়ণগঞ্জ ওএমএস এর ডিলারশিপ নিয়োগে অনিয়ম, কার্যালয়ে আবেদনকারীরা

স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে ওএমএস এর ডিলারশিপ নিয়োগ নিয়ে অভিযোগের সংবাদ প্রকাশের পর আবেদনকারী ব্যক্তিরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে গিয়ে কৈফিয়ত চেয়েছেন।২ জুলাই বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় শহরের ৭৪ বঙ্গবন্ধু সড়ক লাইফ ভিউ-ফুলকুটিঁর, মীম শরৎ এ্যাপার্টমেন্ট (৫ম তলা) জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে গিয়ে জড়ো হয়।তবে ডিলারশিপ পেতে আবেদনকারীদের কার্যালয়ে যাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বাবুল হোসেন। তিনি বলেন, আমি সারাদিন অফিসেই ছিলাম এমন কেউ আসেনি।ডিলারশিপ পেতে আবেদনকারীরা জানান, সংবাদ প্রকাশের পর তারা জানতে পেরেছেন ডিলারশিপ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের আবেদন কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে এবং তাদেরকে কেন জানানো হয়নি এটা জানতেই তারা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের গিয়েছিলেন। যে সময় কার্যালয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রক উপস্থিত ছিলেন না। আর পরিদর্শক আমিনুর রহমান জুয়েল সকাল থেকেই নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছে। আমরা সেখানে কিছু সময় অবস্থান করে চলে এসেছি।প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জে ওএমএস এর ডিলার নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন আবেদনকারী।তাদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় মামলার কারণে ডিলার নিয়োগ স্থগিত ছিল। সম্প্রতি মামলা নিষ্পত্তি হলে চলতি বছরের গত ২৫ জুন নতুন করে ওএমএস এর ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়। এ বছর মোট ৩৯টি ডিলারশিপ নিয়োগের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিলো প্রায় দেড়শতাধিক এর অধিক। গত ২৫জুন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের লটারির মাধ্যমে ৩৯টি ডিলারের মধ্যে মাত্র ১৮টি ডিলারশিপ লটারির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০টি ডিলারশিপ পাওয়া ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া যে ১৮টি ডিলার লটারির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেখানেও অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছেন আবেদনকারীরা।তাদের দাবি লটারির দিন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা ২টি লটারি নিজে তুলেন। এরপর তিনি জরুরি কাজে চলে যাওয়ার পর বাকি ১৮টি লটারি তোলা হয়। ওই ১৮টি লটারিতে থাকা নাম প্রকাশ্যে উপস্থিত আবেদনকারীদের দেখানো হয়নি। এখানোই অনিয়মটি করা হয়েছে।নারায়ণগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন জানান, সরকার থেকে মোট ৩৯টি ডিলার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। আমরা ৩৮টি ডিলার নিয়োগ দিতে পেরেছি। ৩৯টি ডিলারের বিপরীতে ১৪৯ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। ২৫ জুন লটারির মাধ্যমে ১৮টি ডিলার লটারির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।বাকি ২০টি কেন লটারি হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাকি ২০টি ডিলারের বিপরীতে ১জন করেই প্রার্থী ছিল। যোগ্য দ্বিতীয় কোনো প্রার্থী না থাকায় বাকি ২০টির লটারি করা হয়নি।লটারি হওয়া ১৮টি ডিলারের মধ্যে ২ বাদে বাকি ১৬টির নাম কেন জন সম্মুখে প্রদর্শন করা হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা নাই।যোগ্য প্রার্থী হতে কি কি প্রয়োজন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপনি নীতি মালা দেখে নিন। আর বেশি কিছু জানার থাকলে ফোনে নয় তথ্য অধিকার আইনে লিখিত আবেদন করলে নিয়ম অনুযায়ী তথ্য জানানো হবে।বেশ কয়েকজন আবেদনকারী অভিযোগ করে বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে ডিলারশিপ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের পরিদর্শক খাদ্য পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জুয়েল তার বেয়াইকে ডিলারশিপ দিয়েছেন, নিজের সহকারী জহির এর ছোট ভাইকে ডিলারশিপ পাইয়ে দিয়েছেন। নিজের মেয়ের জামাইকে তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছেন।শুধু ডিলারশিপের আবেদন করা ব্যক্তিরাই নয়। খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তারাও ডিলার নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, ডিলার নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি ডিলারের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এতো বড় একটি বিষয় এখন পর্যন্ত কোন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। বিষয়টি অবশ্যই জনসম্মুখে আসা প্রয়োজন রয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের খাদ্য পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জুয়েল দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে চাকরি করছেন। বিভিন্ন সময় তার বদলি হলেও তিনি নারায়ণগঞ্জে থেকে গেছেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে। বর্তমানেও তিনি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় বদলি হলেও সংযুক্তি হিসেবে নারায়ণগঞ্জে রয়ে গেছেন।এসব অভিযোগের ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জুয়েলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টার পর তিনি ফোন রিসিভ করেন।লটারির দিন জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে ২টি নাম প্রদর্শনের করা হলেও বাকি নামগুলো প্রকাশ্যে না দেখানোর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার জানা নাই। ডিসি সাহেব না থাকলেও এডিসি (সার্বিক) সাহেব ছিলেন।