• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ২২শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ সকাল ০৮:৫৪:২২ (05-Jun-2023)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও

জাতীয়

জাপান আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার: প্রধানমন্ত্রী

২৮শে এপ্রিল ২০২৩ বিকাল ০৫:৩২:০৩

জাপান আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের দীর্ঘকালের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতা অর্জনের দুই মাসের মধ্যেই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া কয়েকটি দেশের মধ্যে এই জাপান হৃদয়ের খুব কাছের। জাপান আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশ তার উন্নয়নের জন্য জাপানের অবিচল সমর্থন পেয়েছে এবং আমাদের স্বাধীনতার পর জাপানের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সরকারি উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে।

চার দিনের টোকিও সফরের দ্বিতীয় দিন ২৫ এপ্রিল সে দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা ‘দ্য জাপান টাইমস’ একটি নিবন্ধন প্রকাশ করে। ‘জাপান আমাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে’ শিরোনামে লেখাটি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লেখাটি অনুবাদ করে প্রকাশ করে বাসস।

প্রধানমন্ত্রী লেখেন, আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫১তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আমার দেশ, বাংলাদেশ এবং জাপানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে আমি আবার টোকিওতে এসেছি। আমি মহামান্য সম্রাট নারুহিতো এবং সম্রাজ্ঞী মাসাকোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আমাকে আমন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকেও শ্রদ্ধা জানাই। আবে ছিলেন বাংলাদেশের একজন মহান বন্ধু।

প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেন, স্বাধীনতা লাভের দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে দ্রুত স্বীকৃতি দেওয়া কয়েকটি দেশের মধ্যে জাপান অন্যতম। এমনকি ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও জাপান অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছে, যা আমরা কখনও ভুলিনি বা ভুলব না। সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ঘটনা ছিল জাপানি স্কুলের শিশুরা তাদের টিফিনের টাকা জমা করে সেই টাকা ঘূর্ণিঝড় এবং যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের দেশের লোকদের জন্য সাহায্য করেছিল। তারপর থেকে জাপান আমাদের দীর্ঘকালে পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে রয়ে গেছে। জাপান আমার হৃদয়ের খুব কাছের একটি দেশ, ঠিক যেমন এটি আমার পরিবার এবং আমাদের জনগণের কাছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার ছোট বোন শেখ রেহানা জাপানের সঙ্গে বিশেষভাবে সম্পর্কিত। কারণ, সে আমাদের পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমাদের ছোট ভাই শেখ রাসেলের সঙ্গে ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে প্রথম জাপান সফর করেছিল। জাপানের প্রতি তার পিতার স্পর্শকাতর উত্তরাধিকার লালন করার পাশাপাশি দেশটির বিস্ময়কর উন্নয়নের প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমি জাপানের অমূল্য অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে বারবার এখানে আসি। এগুলো আমাকে এই মহান দেশের ভাবমূর্তির মতো বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য আমার শরীর ও আত্মাকে কাজে লাগাতে এবং আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করে। এখন আমি অনুভব করি যে, আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক একটি ঈর্ষণীয় স্তরে জোরদার করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের ব্যাপক অংশীদারিত্ব থেকে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা জাপানের উন্নয়ন দেখে মুগ্ধ এবং জাপানকে মডেল হিসেবে অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন। তিনি জাপানের জাতীয় পতাকার নকশা দেখেও অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। উভয় পতাকাই বাংলাদেশের জন্য গাঢ় সবুজ এবং জাপানের জন্য সাদা রঙের পটভূমির বিপরীতে কেন্দ্রে লাল বৃত্তসহ আয়তাকার।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, তাদের ফিরে আসার পর, তারা প্রায়ই তাদের জাপানের স্মরণীয় অভিজ্ঞতার কথা বলতেন। সেগুলো আমাদের স্মৃতিতে রয়ে গেছে, যা আমাদেরকে এখন আরও বেশি বেদনার্ত করে, সেই ঐতিহাসিক সফরের পর রেহানা এবং আমি ছাড়া আমাদের পরিবারের সকল সদস্যকে মাত্র ২২ মাসের মাথায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৫
৪ঠা জুন ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:৪৬:০৮


শশুর বাড়ী থেকে জামাইয়ের মরদেহ উদ্ধার
৪ঠা জুন ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:৩২:৩৫





যমুনা নদী থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
৪ঠা জুন ২০২৩ বিকাল ০৫:১৫:২৯



কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে হারিকেন
৪ঠা জুন ২০২৩ বিকাল ০৪:১৭:৫৯

নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করলেন এরদোয়ান
৪ঠা জুন ২০২৩ বিকাল ০৩:২৫:৩৬








পেঁয়াজের কেজি প্রায় ১০০ টাকা
৪ঠা জুন ২০২৩ দুপুর ০১:০৯:২৪





শারীরিকভাবে আমার স্বামী অক্ষম: সানাই
৪ঠা জুন ২০২৩ সকাল ১১:৪৯:০৫



ASIAN TV