ফাইল ফটো
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলা সাহিত্যের আলাদা একটা মাধুর্য আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, আমাদের সাহিত্যের আলাদা একটা মাধুর্য আছে। আমাদের দেশের নদী-নালা, খাল-বিল, বন, পাখির ডাক সব কিছুর মধ্যেই আলাদা একটা সুর আছে, ছন্দ আছে। বিদেশিরা আমাদের ভাষা সম্পর্কে আরও জানতে পারুক সেটাই আমরা চাই। জাতির পিতা একবার আন্তর্জাতিক সাহিত্য মেলা আয়োজন করেছিলেন। আমি মনে করি, এ রকম বিশেষ সাহিত্য মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেবে বাংলা একাডেমি।
১ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলা ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যখন থেকে বইমেলা শুরু তখন থেকেই মেলায় আসতাম। সকাল থেকে সারাদিন এখানে ঘুরঘুর করতাম। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পায়ে শিকল পড়ে যায়; নিয়মের মধ্যে আসতে হয়, আবার চলে যেতে হয়; আগের মতো সেই স্বাধীনতাটা পাচ্ছি না; সেটা আর উপভোগ করতে পারি না।
স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, এ বটতলায় অনেক সময় কাটিয়েছি আমরা। কোভিডের কারণে দুই বছর সরাসরি মেলায় আসতে পারিনি। আজকে দীর্ঘদিন পর আসতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। যদিও আগের মতো সেই স্বাধীনতা পাচ্ছি না। তারপরও বাংলা একাডেমিতে আসতে পারলাম, এটাই হচ্ছে সব চাইতে বড় পাওয়া। এই প্রাঙ্গণে আমার সবসময় পদচারণা ছিল। আমি সবসময় বাংলা একাডেমির লাইব্রেরি ব্যবহার করতাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ডিজিটাল যুগ। ভাষা-সাহিত্য চর্চাও আমরা ডিজিটালাইজড করতে পারি। বইগুলো ডিজিটাল ভার্সনে করতে হবে। অডিও ভার্সনও করা যেতে পারে। প্রত্যেকটা সাহিত্যকর্ম অডিও ভার্সন করতে পারলে চলতে-ফিরতেও শোনা যাবে, পড়া যাবে। সেভাবে আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের চলা উচিত। যদিও বই উল্টে পড়ার মজাই আলাদা।
বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেনসংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন প্রমুখ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available