লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রতিটি কর্মজীবী নারীই পিরিয়ড নিয়ে এমন দুশ্চিন্তায় ভোগেন। অফিস, ফিল্ড ওয়ার্ক, স্কুল-কলেজ ইত্যাদি নানা কারণে আজকাল অনেক নারীকেই দিনের একটা লম্বা সময় বাইরে কাটাতে হয়। এছাড়া সব জায়গায় পাবলিক টয়লেটের সুব্যবস্থা না থাকার কারণে সাধারণত ৪-৫ ঘন্টা পর পর স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানো সম্ভব হয় না। তাই পিরিয়ডের সময় দীর্ঘ ভ্রমণও অনেক নারীর জন্যই রীতিমতো আতঙ্কের বিষয়।
অন্যদিকে হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা নিয়ে নানা ভ্রান্তধারণা প্রচলিত থাকায়, কর্মজীবী নারীরা পিরিয়ড নিয়ে সবসময়েই উদ্বিগ্ন থাকেন। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই।
আসুন জেনে নেই, পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর সময় কত ঘন্টা পর পর স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানো উচিত?
কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি পিরিয়ডের হেভি ফ্লো নিয়ে হ্যাসেল-ফ্রি থাকতে কিছু বিষয় মনে রাখতে পারেন:
১। সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা সম্পন্ন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করুন।
২। ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করুন।
৩। সুগন্ধী অথবা অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করবেন না।
৪। সাইকেল ট্র্যাকিং ও ফ্লো কেমন তা জানার জন্য হেলথ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available