নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নেছারাবাদে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের মানি কালেক্টর মো. ফারহান কবির রাফির বিরুদ্ধে মো. ইয়াসিন নামে অফিসের এক মাঠকর্মীর মাথা ফাটিয়ে দুই লাখ আটষট্টি হাজার টাকা নিয়ে পালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ফারহান কবির রাফি বরিশাল সদর উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে। তিনি স্বরূপকাঠি-১ বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউজে মানি কালেক্টর পদে চাকরি করেন।
২৩ জুলাই বুধবার দুপুরে উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার তেঁতুলতলা নামক স্থানে বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন-১ হাউজের অফিসের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আহত মো. ইয়াসিন হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আহত মো. ইয়াসিনের পিতা মো. রুহুল আমিন বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বরূপকাঠি ডিস্ট্রিবিউশন অফিসের মানি কালেক্টর মো. ফারহান কবির রাফি মোবাইলে জুয়া খেলে দেনা হয়ে মাঠকর্মীর অফিসের টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
বাদী ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বালিহারী গ্রামের মো. রুহুল আমীনের ছেলে স্বরূপকাঠি-১ বিকাশ ডিষ্ট্রিবিউশন হাউজে মাঠকর্মী পদে চাকরি করে। একই অফিসে অভিযুক্ত মো. ফারহান কবির রাফি মানি কালেক্টর পদে চাকরি করত। মানি কালেক্টর রাফি মোবাইলে অনলাইনে জুয়া খেলে অফিসের অজান্তে এক লাখ টাকার দেনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন দুপুরে অফিসের মাঠকর্মী ইয়াসিনের সাথে নগদ ২৩ হাজার টাকা নিয়ে মার্কেটের ক্যাশ আনার জন্য অফিসের মানি কালেক্টর রাফির কাছে আসে। এসময় রাফি ইয়াসিনকে অফিসে বসিয়ে তালা মেরে বাইরে যায়। তিন ঘণ্টা পর রাফি অফিসে এসে মার্কেটের অফিস এজেন্ট সার্ভিসের জন্য অফিস থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়। এসময় রাফি জুয়া খেলে হেরে যাওয়ার টাকা অফিসে পরিশোধের জন্য ওই টাকা থেকে ইয়াসিনের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে। মাঠকর্মী ইয়াসিন সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে রাফি অফিসে রাখা ক্রিকেটের ষ্ট্যাম্প দিয়ে তার মাথায় সজোড়ে আঘাত করে। পরে তার ব্যাগ থেকে ২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফারহান কবির রাফি মূলত একজন মাদকসেবী। সে বিকাশে চাকরি নিয়ে অফিসে বসে জুয়া খেলত। জুয়া খেলে অফিসের অজান্তে মোটা অংকের টাকার দেনা হয়ে পড়ে। ওই অফিসের মাঠকর্মীকে হত্যা করে তার কাছে থাকা প্রায় আটলাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল। ঘটনার দিন অফিসের ভিতর থেকে চিৎকার শুনে বিকাশের মাঠকর্মীরা ইয়াসিনকে রক্তাক্তবস্থায় উদ্ধার করে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো. ফারহান কবির রাফির বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. বনি আমীন জানান, বিকাশের অফিসে উভয়ের মধ্য কী যেন একটা বিষয় নিয়ে মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলমান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available