হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে বাসের হেল্পার, সুপারভাইজার এবং ড্রাইভারের মারধরের প্রতিবাদে দিনাজপুর-রংপুর সড়কের সাতটি বাস আটক করে শিক্ষার্থীরা।
১৭ মে শনিবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে বাস আটক করেন তারা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাস সাতটি আটকে রাখা হয়েছে।
মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম সোহেল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, শনিবার বিকালে টার্মিনাল এলাকায় হেঁটে যাচ্ছেছিলেন সোহেল। শহরে টিউশনিতে যাচ্ছিলেন ওই শিক্ষার্থী। বাস শিক্ষার্থীর গা ঘেঁষে বেপরোয়াভাবে গেলে শিক্ষার্থী কারণ জিজ্ঞাসা করে। এর জের ধরে বাসের হেল্পার নেমেই মারধর ও বাবা-মায়ের নাম তুলে গালিগালাজ করে। ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে পরিচয় দিলে তারা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও গালিগালাজ করে। পরে ড্রাইভার, সুপারভাইজার এবং হেল্পারসহ আবারও মারধর করেন এবং টার্মিনালে আধাঘণ্টার মতো আটকিয়ে রাখেন এবং ফোন ছিনিয়ে নেন।
সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সাতটি বাস আটকে রাখা হয়েছে। বাসের মধ্যে চালক ও চালকের সহকারীরা শুয়ে-বসে অলস সময় পার করছেন। জানতে চাইলে একটি বাসের চালক বলেন, ‘আমাদের কোনো একটি বাসে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। তাই আমাদের বাস আটকে রাখছে। অপরাধ করেছে একজন আর তার ফল ভোগ করছি আমরা। মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, এখনো তারা আসেননি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা বলেন, মারধরের জের ধরে শিক্ষার্থীরা বাস আটকে রেখেছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু তাঁরা আসবেন আসবেন করে এখনো আসেননি। তাঁরা এলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সে বিষয়গুলো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available