• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২১শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৬:৪৭:৩২ (04-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২১শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৬:৪৭:৩২ (04-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

ক্যাম্পাস

তীব্র গরমে সময়সীমা নয়, ক্লাস-পরিক্ষা বন্ধ চায় যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

২০ এপ্রিল ২০২৪ রাত ০৮:২৪:২৭

তীব্র গরমে সময়সীমা নয়, ক্লাস-পরিক্ষা বন্ধ চায় যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

যবিপ্রবি প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহের কারণে সারাদেশে হিট আ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। চলমান দাবদাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় ক্লাসের সময়সূচি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) প্রশাসন। তবে ক্লাসের সময়সীমা পরিবর্তনে সন্তুষ্ট নয় শিক্ষার্থীরা। চলমান পরিস্থিতিতে ক্লাস পরিক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছে তাঁরা।

২০ এপ্রিল শনিবার যবিপ্রবি উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো: আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ক্লাস সকাল ৮টা হতে ১২টা পর্যন্ত ও অফিসসমূহ ২টা পর্যন্ত চলবে।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। এসময় তীব্র দাবদাহে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে ক্লাস-পরীক্ষাসমূহ বন্ধ অথবা অনলাইনে নেওয়ার দাবি তোলে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোতালেব হোসাইন।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমীন বলেন, হিট ওয়েভে অতিষ্ট শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেটি শিক্ষার্থীদের জীবনযাপনকে প্রভাবিত করছে। এই সময়ে তাদের উচ্চ তাপমাত্রার কারণে শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এই অসহনীয় পরিস্থিতিতে  শিক্ষার্থীদের সাস্থ্য সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিষ্ট গরমে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন যেন তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এমতাবস্থায় পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এমন অসহনীয় অতিষ্ট গরমে শিক্ষার্থীদের ক্লাস সময়সীমা না কমিয়ে  ছুটি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, স্বাস্থ্যসচেতন পদক্ষেপ। এটি তাদের  সুরক্ষিত করে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সংরক্ষণ করে। এছাড়া, এই ধরনের ছুটি  শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস এবং সামর্থ্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

ক্লাস বন্ধের দাবি জানিয়ে রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শতদল পোদ্দার বলেন, সম্প্রতি দেশে চলমান তীব্র তাপদাহের জন্য শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে যবিপ্রবি প্রশাসন ক্লাসের সময়সীমা কমিয়ে সকাল ৮-১২ টা পর্যন্ত করেছেন, তবে এ সিদ্ধান্ত কতোটা যৌক্তিক হবে; তা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সন্দিহান। কেননা এই তীব্র গরমে সেই কাঠপোড়া রোদে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে শহরে যাতায়াত করতে হবে, এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি আরো বাড়বে। তাই এই তীব্র তাপদাহের কথা বিবেচনা করে হলেও ক্লাস এ সপ্তাহ বন্ধ রাখাটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণকর হবে বলে মনে করি৷

ইইই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাব্বি হোসেন বলেন, তীব্র তাপদাহে যখন সারাদেশের মানুষ অতিষ্ঠ। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সব কিছু বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম আমাদের যবিপ্রবি প্রশাসন তা মানতে নারাজ। যদি ৮-১২ টা পর্যন্ত ক্লাস হয়, তাহলে ছাত্রছাত্রীরা কোথায় উপকৃত হলো? সেই সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ক্লাস করা লাগবে। সুতারাং, আমি মনে করি, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের যদি ক্লাস কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হয়,তাহলে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করলে, সব থেকে ভালো অপশন হতো। অন্যথায় কিছু দিনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হোক।

সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনায় নেওয়ার দাবি জানিয়ে পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফি বলেন, প্রচন্ড তাপদাহে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো ৭ দিনের ছুটিতে গেলো। নেপথ্যে থেকে যশোরের ৪১°~৪২° তে যবিপ্রবি তার সিডিউল ক্লাসের সময়সীমা কমালো। কিন্তু এই গরমে একজন শিক্ষার্থী ঘর থেকে বের হলেই তো ডিহাইড্রেশন, হিট স্ট্রোক, র‍্যাশের মতো অসুস্থতায় পতিত হবে। আর শিক্ষার্থীরা ক্লাস পর্যন্ত গেলে পূর্ণ ক্লাস করার ক্ষমতা রাখে। তাপদাহ বাহিরে, ক্লাসরুমে তো নয়। এ সিদ্ধান্ত অদ্ভুত লেগেছে। আশা করি শিক্ষকেরা পরিস্থিতি বুঝে পুনরায় সিদ্ধান্ত নিবেন।

ভোগান্তিমূলক পরিস্থিতিতে ক্লাস না নেওয়ার দাবি জানিয়ে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুর্তজা বশির বলেন, যশোরে তাপমাত্রা এখন প্রতিনিয়ত ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তীব্র তাপদাহে নিজ রুমে অবস্থান করা কষ্টদায়ক। এই অবস্থায় প্রতিনিয়ত ক্যাম্পাসে যাওয়া-আসা করা, ক্যাম্পাসে কয়েক ঘন্টা অবস্থান করে ক্লাস করা আমাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্লাস সময়সীমা ৮ থেকে ১২টা পর্যন্ত করেছেন। কিন্তু বেলা ১২ টার পর থেকেই তাপমাত্রায় চরম পর্যায়ে থাকে। এহেন পরিস্থিতিতে যারা শহরে থাকে তারা এই তীব্র গরমে বাসায় ফিরতে হবে। এছাড়াও এই তীব্র তাপমাত্রায় হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। এমন ভোগান্তিমূলক পরিস্থিতিতে আমরা চাই ক্লাস সময়সীমা না কমিয়ে, বরং সপ্তাহখানেকের জন্য ক্লাস বন্ধ রাখা হোক। আশা করছি, কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের প্রতি সদয় সুলভ সিদ্ধান্ত নিবেন।

এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, সীমিত ক্লাসে কোন লাভ নেই, যদি তীব্র রোদের ভিতরে ক্লাস শেষে রুমে ফিরতে হয়। তাই অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হোক অথবা ক্লাস পরিক্ষা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হোক৷

উল্লেখ্য, ২০ এপ্রিল শনিবার সারাদেশের মধ্যে যশোর জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ