• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ১০:০১:০৩ (02-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ১০:০১:০৩ (02-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

হিলিতে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শৈতপ্রবাহে মরে যাচ্ছে ইরি-বোরো বীজতলা

২৮ জানুয়ারী ২০২৪ বিকাল ০৫:২৪:০৯

হিলিতে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শৈতপ্রবাহে মরে যাচ্ছে ইরি-বোরো বীজতলা

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: ঘন কুয়াশায় আবারও ক্ষতির মুখে পড়েছে হিলির কৃষকরা। আগাম বীজতলা তৈরি করলেও ঘন কুয়াশায় স্যাঁতসেঁতে ও বিবর্ণ আকার ধারণ করে মরে যাচ্ছে বোরো বীজতলার চারা। সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে অনেকটাই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এখানকার কৃষকরা। বোরো চারা নষ্ট যাতে না হয় সেজন্য কৃষকদের সবধরনের পরার্মশ দেওয়ায় কথা বলছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

শষ্যের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুরের হিলিতে বোরো রোপণ করতে প্রস্তুত করা হয়েছে বোরো বীজতলা। আমনের ফলন ভালো হলেও আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় ইরি-বোরো ফলন আরও ভালো দামের আশায় আগে-ভাগেই বীজতলা তৈরির কাজ সেরে ফেলেছেন এখানকার কৃষকরা। কিন্তু শুরু থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা ও তরতাজা চারাগুলো স্যাঁতসেঁতে ও বিবর্ণ আকার ধারণ করে মরে যাচ্ছে। অনেকে চারা রক্ষার্থে পলিথিন দিয়ে ঢেঁকে দিয়ে রাখছেন বীজতলা। তবে কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না কোনো সুরাহা। সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে হাতাশায় এখানকার কৃষকরা।

এদিকে দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের তেমন দেখা মিলছে না, আবার কখনো মিললেও সেই রোদের তীব্রতা তেমন নেই। তার সাথে হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে নষ্ট হচ্ছে ইরি বোরো ধানের বীজতলা। অধিকাংশ বীজতলার বীজগুলো হলুদ ও লালচে বর্ণের হয়ে বীজগুলো মরে যাচ্ছে।

উপজেলার বাওনা গ্রামের কৃষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, বীজতলায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো ফল পাচ্ছি না। এতে করে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।

জালালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, আমি প্রায় ১০ বিঘা জমির জন্য বীজতলা প্রস্তত করেছি, কিন্তু ঘন কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট হয়েছে। আমি ইরি-বোরো ধান লাগানো নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।

জাংগই গ্রামের কৃষক মহিদুল বলেন, প্রতিদিন সকালে বীজতলা থেকে কুয়াশা ফেলে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে কীটনাশক স্প্রে করার পরও বীজতলার চারা মরে যাচ্ছে। এতে আমি চরম বিপাকে পড়েছি। একই সঙ্গে বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে বীজতলায় লালচে ভাব এসেছে।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম জানান, উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এবার প্রায় ৩৮২ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করেছে কৃষকরা। বোরো চারা নষ্ট যাতে না হয় এবং বোরো লক্ষমাত্রা অর্জন করতে কৃষকদের সবধরনের পরার্মশ দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি অধিদফতর।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ