• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১ দুপুর ১২:১৭:২৪ (27-Jul-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১ দুপুর ১২:১৭:২৪ (27-Jul-2024)
  • - ৩৩° সে:

মতামত

জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিনের অনন্য মর্যাদা

৭ জুন ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩:৫৭

জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিনের অনন্য মর্যাদা

এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ: মহান রাব্বুল আলামিনের বিধানানুসারে চারটি মাস পবিত্র ও সম্মানিত। এই চারটি মাসের মধ্যে অনন্য একটি মাস হল জিলহজ্ব মাস। আর এ মাসের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ও মর্যাদাপূর্ণ সময় হলো আশারায়ে জিলহজ্ব তথা জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশক।

দুটি ইবাদত এই দশকের মর্যাদাকে আরও অধিক বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছে। কুরআন-হাদীসে এই দশকের বিশেষ ফজিলত ও অসীম গুরুত্ব ও তাৎপর্যের কথা বর্ণিত হয়েছে।

স্বয়ং আল্লাহ তাআলা এই দশকের সম্মান ও পবিত্রতা প্রকাশান্তে এই দশকের রজনীগুলোর নামে শপথ করেছেন।  
সূরা ফজর-এ আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন: ‘শপথ ভোরবেলার, শপথ দশ রাত্রির।’ (সূরা ফজর : ১-২)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.), হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.) ও মুজাহিদ (রহ.)সহ অধিকাংশ সাহাবী, তাবেয়ী ও মুফাসসিরের মতে, এখানে দশ রাত্রির দ্বারা জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ রাতকেই বুঝানো হয়েছে। হাফেয ইবনে কাসীর (রহ.) বলেন, এটিই বিশুদ্ধ মত। -(তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪/৫৩৫-৫৩৬)

হাদীস শরীফে এই দশককে দুনিয়ার সবচেয়ে উত্তম ও মর্যাদাবান দশক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘দুনিয়ার সর্বোত্তম দিনগুলো হলো জিলহজ্বের দশ দিন। জিজ্ঞাসা করা হলো, আল্লাহর রাস্তায়ও কি তার সমতুল্য নেই? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায়ও তার সমতুল্য নেই, তবে ঐ ব্যক্তি, যার চেহারা ধূলিযুক্ত হয়েছে, অর্থাৎ শাহদাতের মর্যাদা লাভ করেছে।’ -(মুসনাদে বাযযার, হাদীস : ১১২৮, মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস : ২০১০)

জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ দিনসমূহ হলো জিলহজ্বের প্রথম দশ দিন। -(সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ২৮৪২, আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব, ১৭৮৫)

জিলহজ্ব মাসের তাৎপর্যের বিষয়ে বিশ্ববিখ্যাত হাদীস বিশারদ হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জিলহজ্বের প্রথম দশকের বিশেষ গুরুত্বের কারণ হলো, এই দিনগুলোতে ইসলামের পাঁচটি রুকন বা মৌলিক কাজের সমাহার রয়েছে। যেমন ঈমান ও সালাত অন্য দিনগুলোর মতো এই দিনগুলোতেও বিদ্যমান। যাকাত বছরের অন্য যে কোনো সময়ের মতো এসময়েও আদায় করা যায়। আরাফার দিনে রোজার নির্দেশ থাকায় ইসলামের আরেকটি রুকন রোজার নজিরও এই দশকে পাওয়া যায়। আর পঞ্চম রুকন হজ এই দশকেই পালনযোগ্য। আবার ইসলামের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত কুরবানিও এই সময়ে আদায় করতে হয়। সুতরাং মাস হিসেবে রমাদান আর দিন হিসেবে জিলহজ্বের প্রথম দশক শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাপূর্ণ। আর তাই এই দিনগুলোতে আমাদের ইবাদত-বন্দেগিতে বিশেষভাবে মগ্ন হওয়া উচিত।

আল্লাহ তায়ালা সকলকে এই দিনগুলোর সঠিক মর্যাদা আদায় করে ইবাদত-বন্দেগি পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া ইসলামিয়া মারকাযুদ দ্বীন, তিতাস, কুমিল্লা।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ