• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ১১:৪০:১০ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ১১:৪০:১০ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

শার্শায় মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে যখম

২৬ আগস্ট ২০২৩ সন্ধ্যা ০৭:১৯:৪১

শার্শায় মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে যখম

যশোর (দক্ষিণ) প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় মসজিদে লাইট জ্বালানো ও মশার কয়েল ধরানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন শাহারুল ইসলামকে (৪৫) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মুয়াজ্জিনকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

২৫ আগস্ট শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে শার্শা উপজেলার গাজীর কায়বা গ্রামের পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শাহারুল ইসলাম শার্শার গাজীর কায়বা গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে ও গাজীর কায়বা পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত আছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম ও তার ছেলে মেহেদী হাসান, সাঈদী হাসান এবং চাচাতো ভাই সিরাজুল।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার এশার নামাজ শেষে মুসুল্লিরা সবাই চলে গেলেও অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম মসজিদে লাইট, মশার কয়েল ও ফ্যান জ্বালিয়ে  বসে ছিলো। এসময় মুয়াজ্জিন লাইট জ্বালাতে নিষেধ করে। এতে দু’জনার মধ্যে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরিবর্তিতে আনোয়ারুল ও তার ছেলে ভাই এবং চাচাতো ভাইয়ের নেতৃত্বে ৬/৭ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শাহারুলকে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আহত মুয়াজ্জিন শাহারুল জানান, প্রায়ই প্রতিদিন নামাজের পরে অভিযুক্ত আনোয়ারুন মসজিদ ফ্যান ও মশার কয়েল জ্বালিয়ে বসে থাকে। গতকাল ও মাগরিবের নামাজের পর সে মাশার কয়েল ও ফ্যান চালিয়ে বসে ছিলো। তখন আমি তাকে বলি ভাই নামাজের পরে ফ্যান চালিয়ে বসে থাকেন সমস্যা নাই। তবে কয়েল জ্বালিয়েন না। যদি জ্বালাতে হয়, তাহলে কিনে এনে জ্বালিয়ে বসে থাকেন। কারণ অন্য মুসল্লীরা রাগ করেন। এ কথা বলতে সে আমার উপর চড়াও হয়। আমি কিছু না বলে বাজারে চলে আসি। পরে ইশার নামজের পর মসজিদের বাইরে আসলে হঠাৎ আনোয়ারুল ও তার ছেলেরা আমাকে পাতাড়ি পেটাতে থাকে এবং কোপ মেরে আমাকে রক্তাক্ত করে। আমার চিৎকারে মহল্লাবাসি এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।

প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুস্ঠ বিচার দাবি করেন তিনি।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, মুয়াজ্জিন সাহেব গরিব মানুষ। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে, সেটা আসলেই দুঃখজনক।  

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা ঘটার সাথে সাথে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও পেয়েছি।

তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ