চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি: সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংস হতে চলেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলা নিমাইচড়া ইউনিয়নের সমাজ গ্রামের শীতলাই জমিদার বাড়ি। প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন এই বাড়ির দরজা, জানালা, টিন, ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বেহাত হয়েছে জমিদার বাড়ির দিঘীসহ প্রায় হাজার বিঘা সম্পত্তি।
নেই কোনো পাইক-পেয়াদা, হাতি-ঘোড়া। কিন্তু কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ভাঙ্গাচোড়া দেওয়াল। তবে এর ইট-পাথরে প্রাচীন আভিজাত্যের ছাপ এখনো স্পষ্ট।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার সমাজ গ্রামের নাম ছিল শীতলা। প্রায় ২০০ বছর আগে নাটোরের রাণী ভবানীর বংশধর যোগেন্দ্র নাথ মৈত্র এখানে জমিদারি প্রতিষ্ঠান করেন। মৈত্র জমিদার বংশের শেষ স্মৃতি বলতে বেঁচে আছে এই টুকই। ভবনের কোথাও খসে পড়েছে ইট পাথর, উঠে গেছে পলেস্তারা, টিকে আছে কোনো রকমে। শুধু তাই নয় এ ভবনের অনেকটাই দখলে ইতোমধ্যেই সেখানে বসতি গেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
ভাঙ্গাচোড়া এই রাজবাড়িটির পাশেই ঐতিহাসিক শীতলাই দিঘী, যা হেমন্ত সাগর নামেও পরিচিত। স্থানীয়রা বলছেন, শেষ সংস্কার হয়েছে কবে সেটিও জানে না এলাকাবাসী। তবে সংস্কার করা গেলে দিঘী এবং রাজবাড়ির মেলবন্ধনে এটিও হতে পারে আকর্ষণীয় ঐতিহাসিক পর্যটক কেন্দ্র।
আনুমানিক ১৭৩৪ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন জমিদার যোগেন্দ্র নাথ মৈত্র এর ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপন করেন। এতে তিনটি একতালা ভবন এবং একটি দোতালা ভবন রয়েছে। ১৯৪৭ সালে দাঙ্গার পর জমিদার বংশ দেশ ত্যাগ করলে, বাড়িটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকে। যার কারণে এক সময় এই বাড়ি ভুতুড়ে বাড়ি নামেও পরিচিত হয়ে উঠে।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুসা নাসির (চৌধুরীর) জানান, এটি যদি আমরা সংস্কার করতে চাই তাহলে এটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মধ্যেমে সংস্কারের কাজটি পরিচালনা করতে হবে। কিন্তু এই স্থাপনাটি এখনো প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধিভুক্ত হয়নি। আমরা অনুরোধ করবো এবং পত্র লিখব, যেন এটি তাদের অধিভুক্ত করে নেয় এবং সংস্কারের কার্যক্রম গ্রহণ করে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available