শরীয়তপুর প্রতিনিধি: আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
২১ জুন শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখানে শরীয়তপুরের ডিসি আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর এক আত্মীয় (নারী) কে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। ছবি ও ভিডিও প্রকাশের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আশরাফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু'র সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আশরাফ উদ্দিনকে বদলিপূর্বক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উপসচিব) করা হয়েছে।
জানা যায়, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের সাথে এক নারীর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বৃহস্পতিবার রাতে। ওই রাতেই শরীয়তপুর জেলা ছেড়ে গা ঢাকা দেন ডিসি। ছবি ও ভিডিও ভাইরালের বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি জেলা প্রশাসককে। অফিসও করছেন না তিনি। ব্লাক মেইলের শিকার হয়েছেন বলে দাবি ওই নারীর। তবে প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা প্রশাসক।
আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এবং ওএসডি সম্পর্কে জানতে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের মুঠোফোনে কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফেসবুকে ওই নারীর উদ্দেশ্যে ভিডিওতে এসে বলেন, আমি তোমার সঙ্গে কখনোই প্রতারণা করিনি। সময় চাওয়াটা যদি প্রতারণা হয়ে থাকে তাহলে এর চাইতে বেশি দুঃখের আর কিছুই থাকবে না আমার কাছে। আমি কখনোই তোমার ক্ষতি করবো না। আমার নিজেকে তিলে তিলে শেষ করে দেব।
ভিডিওতে থাকা ওই নারীর বাড়ি টাঙ্গাইলে। তিনি স্বামীর সঙ্গে ঢাকার মিরপুর এলাকায় থাকতেন। আর জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের বাসাও মিরপুর এলাকায়। স্বামীর সঙ্গে ওই নারীর বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে তিনি টাঙ্গাইলে বসবাস করছেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী মুঠোফোনে বলেন, আশরাফ উদ্দিন আমাকে বিয়ের কথা বলে আমার স্বামীকে ডিভোর্স করিয়েছে। স্বামীকে ডিভোর্স করিয়ে আমার ২৫ বছরের সংসার, সমাজ ধ্বংস করে আমাকে পথে বসিয়ে দিয়ে এখন তিনি আমাকে বিয়ে করবেন না। উল্টো বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি আমাকে মারধরসহ শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করেছেন। শুরু থেকেই তিনি আমাকে ব্লাক মেইল করে তার প্রতি আমাকে আসক্ত করেছেন। আমি তার বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান বলেন, এমন একজন কর্মকর্তার এই ধরনের কাজ করবে শরীয়তপুর কেন বাংলাদেশের কোনো মানুষই তা আশা করে না। ঘটনা সত্য হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক। এই ধরনের ঘটনা জেলাতে আর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available