নিয়ামতপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বখাটে এক যুবক । এ ঘটনায় থানায় মামলা না নিলে আদালতের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী পরিবারে সদস্যরা।পরে ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে আদালতের নির্দেশে নিয়ামতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এখন পর্যন্ত ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এরআগে ২৩ মার্চ উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের ছাতড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । ওই যুবকের নাম তানভীর (২০)। সে একই এলাকার কফিল উদ্দিন দ্বারাজের ছেলে।মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা চাকুরির কারণে ঢাকায় বসবাস করেন। ছাতড়া এলাকায় নানার বাড়িতে থেকে ছাতড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে সে। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিত ওই বখাটে। তানভীরের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ করার অভিপ্রায়ে স্কুলছাত্রীর নানা তারাবির নামাজে গেলে বাড়িতে না থাকার সুযোগে তার বসতবাড়ির ঘরে ঢুকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। ২০২৪ সালের ২৩ মার্চ তানভীরের নিজ বাড়ির পাশে নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ সময় এক সহযোগীর সহায়তায় তা ভিডিও ধারণ করা হয়।স্কুল ছাত্রীর নানা নামাজ শেষ করে নাতনিকে বাড়িতে না পেয়ে খোজাখুজি করতে করতে ওই নির্জন বাড়ির পাশে গেলে নাতনীর চিৎকার শুনতে পায়। সেখানে গেলে সহযোগী কৌশলে পালিয়ে গেলেও তানভীরকে আটক করে। পরে থানা পুলিশ তানভীরকে নিয়ে আসে। স্থানীয়ভাবে ধর্ষণের বিষয়টি মীমাংসা করা হবে বলে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।কিন্ত তানভীরের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় সমাধান না করে উল্টো তাদের হুমকি প্রদান করে। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় মামলা না নিলে আদালতের দ্বারস্থ হোন।মামলার বাদি ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রীর মা বলেন, ধর্ষণের পর থেকেই আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে তানভীরের পরিবার। মামলা হওয়ার পরও আসামি সবার সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় তানভীরের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।