• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১লা আষাঢ় ১৪৩২ ভোর ০৫:৩২:১৮ (16-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১লা আষাঢ় ১৪৩২ ভোর ০৫:৩২:১৮ (16-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

মুরাদনগরে পশুর হাটে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি

৪ জুন ২০২৫ বিকাল ০৪:২২:০৫

মুরাদনগরে পশুর হাটে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: ঈদুল আযহা আর মাত্র একদিন বাকি বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লার মুরাদনগরে জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট। বাজারে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী থাকায় বড় গরু নিয়ে কিছুটা চিন্তিত খামারিরা।

৪ জুন বুধবার সকাল থেকে থেমে থেমে ঝিরিঝিরি ও মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেও মুরাদনগর উপজেলা সদরের ডি,ডি,এস,ওয়াই, উচ্চ বিদয়ালায় (ধনীরামপুর) মাঠে বসেছে পশুর হাট।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে গরু। দুপুর তিনটা পর্যন্ত ছোট-বড়-মাঝারি আকারের গরু বিক্রির জন্য হাটে তুলেছেন খামারিরা। এদিন সরবরাহ বেশি থাকায় মূল হাটের আশেপাশেও গরু বিক্রির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন ক্রেতারা। তবে হাটে ক্রেতা থেকে বিক্রেতা ছিল কিছুটা বেশি। ক্রেতারা অধিকাংশই দেখেছেন, যাচাই করছেন দাম।

খামারিরা বলছেন, গবাদিপশু লালন পালনে খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় মিলছে না দাম। ভুসি, খুদ, কুড়ার দামও বেড়েছে। গরু পালনে খরচ বাড়লেও গরুর দাম আগের মতোই রয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, ছোট ও মাঝারি আকারের গরু ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে গরুর চাহিদা বেশি। যারা ছোট ও মাঝারি গরু বাজারে এনেছেন তারা কিছুটা লাভের মুখ দেখছেন। বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় বিক্রিও কম। খুব বেশি লাভ হচ্ছে না। অনেক ক্রেতার পালনের ভয়ে বারি থেকে কিনে রেগেছেন।মুরাদনগর সদরের জুয়েল বলেন হাটে ৯টি গরু নিয়ে এসেছি। বিক্রি করেছেন ৬ টি। তিনি বলেন বাজার ভালো না, যা দিয়ে কিনেছি ভয়ে কমে বিক্রি করেছি।

দিলালপুরের মহিউদ্দিন বলেন,আমি দুইটি গরু এনেছি ঈদ খরচের জন্য একটি বিক্রি করেছি, পশু পালনে খরচ বেড়েছ এ পশুটি এক বছর পূর্বে এক লক্ষ টাক বলেছে, আজ ও বলে এক লাখ বিশ হাজার, পশুটি পিছনে এক বছরে ত্রিশ হাজার খরচ আছে। গত বছরের তুলনায় মিলছে না দাম। খর, ভুসি, খুদ, কুড়ার দাম প্রায় আগের তুলনায় ৫০ ভাগ বেড়েছে। খরচ বাড়লেও গরুর দাম আশানুরূপ বাড়েনি।

হাটে কথা হয় ১০টি গরু নিয়ে আসা খামারি জহিরুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, ২টি গরু বিক্রি করেছি। এখনও ৮টি গরু বিক্রির বাকি রয়েছে। ক্রেতা বেশি থাকলেও বিক্রি হচ্ছে কম। বেশিরভাগ ক্রেতাই ঘুরে ঘুরে দেখছেন। বাজারে আরও কয়েকজন ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে কথা হয়। তারা জানান, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও অনেক পশু উঠেছে তবে ক্রেতা কম। এছাড়াও বিগত বছরগুলোতে যারা বড় বড় গরু কিনতেন রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে তাদের বেশিরভাগ পলাতক। ফলে বাজারে গরু বেচাকেনা কম। সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থাও খারাপ। এ কারণে বড় গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, মুরাদনগর উপজেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি প্রস্তুত রয়েছে কোরবানির পশু। এ বছর উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১৮হাজার ১৫৫টি। তবে পশু প্রস্তুত আছে ১৯ হাজার ৪৯টি। যার মধ্যে ১৪২৬৯টি গরু, ৫২টি মহিষ, ৩৯৬৩ টি ছাগল ও ৭৬৫টি ভেড়া । উপজেলার চাহিদা মিটিয়েও উদ্ধৃত থাকবে ৮৯৪টি পশু।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ