রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: ষাটোর্ধ সাহারা বেগম রাঙামাটির রাজস্থলি থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে এসেছেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বিদ্যুৎ না থাকায় জরুরি বিভাগে ওই রোগীকে নেবুলাইজ করা যায়নি। পরে ওই রোগীকে নেবুলাইজ করার জন্য অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
৩ জুন মঙ্গলবার সাহারা বেগমের মতো হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা অন্তত ৭ জন রোগী নেবুলাইজ সেবা না পেয়ে ফেরত গেছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় আন্তঃবিভাগেও চিকিৎসকরা রোগীকে নেবুলাইজ দিতে পারেননি। হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে চিকিৎসা দিতে হয়েছে মোবাইল ও মোমবাতির আলোতে।
পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সদর, পৌর এলাকা, পোমরা, বেতাগীসহ বিভিন্ন এলাকা ১৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ছিল।
বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসসহ জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। বাসা-বাড়িতে প্রাত্যহিক কাজে ব্যাঘাত ঘটে। নিয়মিত কাজ-কর্মে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। পানি সংকটে পড়ে শত শত মানুষ । অনেকের মুঠোফোনে চার্জ না থাকায় যোগাযোগ বন্ধ ছিল।
জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের ডিজিএম (ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার) ভজন কুমার বর্মন বলেন, ‘বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ পড়ার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল কিছু এলাকা। গাছ সরিয়ে তারের সংযোগ দিতে সময় লাগে। স্থায়ী ১৬ জন ও অস্থায়ী ২০ জন কর্মী থাকলেও বেশিরভাগই আন্দোলনে। কয়েকজন কর্মী দিয়ে কাজ চালাতে হয়েছে।’
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম (জেনারেল ম্যানেজার) মামুন অর রশিদ বলেন, ‘লোকবল কম থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে একটু সময় লেগেছে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available